মাত্রই ঐশীর সাথে ব্রেকাপ হয়েছে আমার। আলো ঝলমলে হাতিরঝিলকেও বড় ফিকে মনে হচ্ছে। ল্যাম্পপোস্টের বাতিগুলো যেন লো-ভোল্টেজের শিকার।
একেবারে স্থির হয়ে বসে আছি, চোখ থেকে জল পড়ছে। মুখটা দুই হাঁটুর ভাজে লুকিয়ে কাঁদছি। কেউ দেখতে পেলে কেলেংকারি হয়ে যাবে। ছেলেদের তো কাঁদতে নিষেধ।
হঠাৎ মনে হল কেউ আমার বাম পা-টা ধরে টানছে। মুখ তুলে তাকালাম। একটা পিচ্চি, বয়স ৩ নাকি ৪ ঠিক ঠাহর করা যাচ্ছে না। এই শীতের ভিতরেও পরনে শুধু একটা হাফপ্যান্ট। হাত দিয়ে ফুচকাওয়ালাকে দেখাচ্ছে। ফুচকা খেতে চায়।
হঠাৎ মনে হল কেউ আমার বাম পা-টা ধরে টানছে। মুখ তুলে তাকালাম। একটা পিচ্চি, বয়স ৩ নাকি ৪ ঠিক ঠাহর করা যাচ্ছে না। এই শীতের ভিতরেও পরনে শুধু একটা হাফপ্যান্ট। হাত দিয়ে ফুচকাওয়ালাকে দেখাচ্ছে। ফুচকা খেতে চায়।
আমি আর পিচ্চিটা একসাথে বসে ফুচকা খাচ্ছি। ব্যাপক খুশি দেখাচ্ছে তাকে, ছোট-ছোট দাঁত বের করে হাসছে। হাসিতে কোন কৃত্রিমতা নেই। এত সুন্দর করে আমি কখনো কাউকে হাসতে দেখিনি। ওয়েস্টিনে খাইয়েও ঐশীর মুখে এরকম হাসি কোনদিন দেখতে পারেনি।
এতক্ষণে বুঝে গেছি পিচ্চিটা কথা বলতে পারে না। কার বাচ্চা জানার ছোটখাটো চেষ্টাও চালিয়েছি, তবে সফল হইনি। পিচ্চিটাকে কোলে তুলে নিয়েছি। এখন আমার অনেক কাজ। পিচ্চির জন্য জামা-কাপড় কিনতে হবে। কাল বছরের প্রথম দিন যে!