শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৩

হরতাল-অবরোধে বাণিজ্য বাড়ে পুলিশের

রাজধানীর গাবতলীর মাজার
রোড থেকে হোটেলের নাইট
ডিউটি শেষে বাসায় ফিরছিলেন রাজু
নামের এক যুবক। হঠাৎ কয়েকজন পুলিশ
তাকে ঘিরে ধরে কোন কারণ ছাড়াই পুলিশ
ভ্যানে উঠিয়ে দারুস সালাম থানায়
নিয়ে যায়।
পুলিশের মাধ্যমেই রাজু তার আত্মীয়-
স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পুলিশ তার
আত্মীয়কে ডেকে গাড়ি পোড়ানো মামলায়
আসামি করার ভয় দেখিয়ে ২০ হাজার
টাকা দাবি করে। দাবির
টাকা না দিলে মামলায় চালান
দেয়া হবে বলে জানানো হয়।
বুধবার সকাল ৬টার দিকে ‍এ ঘটনা ঘটে।
রাজুর আত্মীয় উপায়হীন হয়ে ১০ হাজার
টাকা দিয়ে রাত সাড়ে ৯টার
দিকে থানা থেকে তাকে ছাড়িয়ে আনে।
এমন অবস্থা যে শুধু দারুস সালাম থানায়
তা নয়, রাজধানীর প্রত্যেকটি থানাই
গ্রেফতার বাণিজ্য করছে পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষ
আটক করে টাকা আদায় করার
প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দারুস সালাম, শাহ
আলী এবং যাত্রাবাড়ী থানা, ভাটারা,
বাড্ডা, শাহাজাহানপুর, খিলগাঁও, তেজগাঁও,
শেরেবাংলানগর, কাফরুল, মিরপুর,
কামরাঙ্গীচর, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, লালবাগ,
সূত্রাপুর, হাজারিবাগ, কলাবাগান,
ধানমণ্ডি থানায়।
তবে এ সব থানার পুলিশের কর্মকর্তারা এ
ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের
সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু ইউসুফ
বাংলানিউজকে বলেন, কেউ যদি হয়রানির
শিকার হন, আর তিনি যদি লিখিত
আকারে আমাদের অবহিত করেন।
বিষয়টি তদন্ত করে দোষী পুলিশের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, হরতাল অবরোধ
মানেই পুলিশের এক ধরনের বাণিজ্য।
রাস্তায় সাধারণ মানুষ আটক করে থানায়
এনে নির্যাতন শুরু করে।
পাশাপাশি ছেড়ে দেয়ার নাম
করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে।
যারা এই
টাকা দিতে পারে তারা ছাড়া পায়,
নতুবা মামলায় আটক দেখানো হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, হরতাল-অবরোধ
কর্মসূচি আসা মানেই পুলিশের বাণিজ্য।
রাস্তা থেকে সাধারণ লোক
ধরে এনে বিএনপি অথবা শিবির
বলে চালিয়ে দেয়ার প্রবণতা বেশি।
রাতের বেলাতে যে সব পুলিশ সদস্যরা টহল
গাড়িতে থাকেন এরাই সবচেয়ে বেশি এ
ধরনের বাণিজ্যে লিপ্ত বলে অভিযোগ
করেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, এ
অবস্থা চলতে থাকলে পুলিশের
প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ
বাড়তে থাকবে।
বাংলাদেশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন