শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৩

ড. জাফর ইকবালের চিঠির জবাব

ড. জাফর ইকবাল
সিলেট: শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড
ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড.
জাফর ইকবাল খোলা চিঠিতে যে দুঃখ
প্রকাশ করেছিলেন এবং যাদের
উদ্দেশ্যে করে তিনি লিখেছিলেন এবার
তারা আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়েছেন।
চিঠিতে জাফর ইকবাল বলেছিলেন,
“যারা আমাদের স্বজন,
যাদেরকে পাশে নিয়ে কাজ করে এসেছি,
তারা যদি আমাদের পাশে না থাকেন,
তাহলে বুঝতে হবে অবশ্যই এই বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে আমাদের বিদায় নেওয়ার সময়
হয়েছে।”
চিঠিতে তিনি আরও বলেন,
“আমরা পুরোপুরি অবিশ্বাস ও বিস্ময়
নিয়ে আবিস্কার করলাম, বামপন্থী ও
জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রথমে এর
বিরোধিতার সূচনা করল
এবং স্বাভাবিকভাবে সেটি অন্যরা গ্রহণ
করলো।
“মাননীয় অর্থমন্ত্রী ও মাননীয়
শিক্ষামন্ত্রী যখন এই পদ্ধতির বিরুদ্ধে অবস্থান
নিলেন- তখন আমাদের মনে হয়েছে,
আমাদের সবকিছু নতুন করে ভেবে দেখার সময়
হয়েছে।”
এর জবাবে সিলেটের বাম রাজনৈতিক
সংগঠন ও প্রগতিশীল আন্দোলনের
নেতারা মিলিত হয়ে এক বিবৃতি বিভিন্ন
সংবাদ মাধ্যমে পাঠিয়েছেন। এতে জাফর
ইকবালের চিঠিকে অসত্য ভাষণ এবং তার
পদত্যাগকে সুচুতুর নাটকীয়
ভূমিকা বলে উল্লেখ করেছেন তারা।
সিলেট জেলা জাসদ সাধারণ সম্পাদক
লোকমান আহমদ সাক্ষরিত জবাবে বলা হয়,
‘‘আমরা সাম্প্রতিক সকল কার্যক্রমে কোথাও
কোনভাবে ড. জাফর ইকবাল ও ড. ইয়াসমিন
হকের নাম উল্লেখ করিনি। তারা কেউই
আমাদের আলোচনা বা মতবিনিময়ের
বিষয়বস্তুও ছিলেন না। অথচ
খোলা চিঠিতে তাদের দু’জনের স্বাক্ষরিত
বক্তব্যে আমাদেরকে লক্ষ্য
করে যেভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন
তা সত্য নয়।’’
জাফর ইকবাল অর্থমন্ত্রী ও
শিক্ষামন্ত্রীকে লক্ষ্য করে যেসব
কথা চিঠিতে বলেছেন তার উল্লেখ
করে বিবৃতি বলা হয়, জাফর ইকবালের
অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সংশ্লিষ্ট
কথা গুলোও নির্জলা মিথ্যা। আমার অবাক
হয়েছি শাবির শীর্ষস্থানীয় দু’জন শিক্ষক
এতো নিখুঁত অসত্য
কথা কিভাবে বলতে পারলো। তাদের অসত্য
ভাষণ ও সুচতুর নাটকীয় ভুমিকার
কারণে তাদেরকে নতুন করে অনুসন্ধান
করা দরকার। সরকারের দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ঠ
সকল কর্তৃপক্ষের উচিত হবে বিষয়টি জাতীয়
স্বার্থে অনুসন্ধানের।
বিবৃতি দাতা অন্যরা হলেন- ন্যাপ এর
প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আব্দুল হান্নান,
জেলা সিপিবি’র সভাপতি অ্যাডভোকেট
বেদানন্দ ভট্টাচার্য, জেলা জাসদ সম্পাদক
লোকমান আহমদ, জেলা বারের সাবেক
সভাপতি এমাদুল্লাহ শহিদুল ইসলাম, সুজন
সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, ওয়াকার্স
পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিকন্দর আলী,
সম্পাদক আবুল হোসেন। বাসদ কনভেনশন
প্রস্তুতি কমিটির জেলা আহবায়ক উজ্জ্বল
রায়, সদস্য অ্যাডভোকেট হুমায়ুন রশিদ
শোয়েব, অঙ্গীকার বাংলাদেশের সিলেট
বিভাগীয় প্রধান অ্যাডভোকেট মইনুদ্দিন
জালাল, নাগরিক মৈত্রীর আহবায়ক সমর
বিজয় সী শেখর, জেলা বাসদ সমন্বয়ক আবু
জাফর, জেলা সিপিবি’র সম্পাদক আনোয়ার
হোসেন সুমন, ওয়াকার্স পার্টির নেতা শফিক
আহমদ, সিরাজ আহমদ, বাসদ নেতা জুবায়ের
চৌধুরী সুমন প্রমুখ।
বাংলাদেশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন