*** শিহরণ
এক অজ পাড়া গায়ে সিনথিয়ার বিয়ে হয়েছে।
তার বিয়ের প্রায় ৫ বছর হলো। তার দুটি ছেলে আছে।
স্বামী ব্যাবসায়ী তাই কাজের জন্য তাকে বেশিরভাগ সময় শহরে থাকতে হয়।
সিনথিয়া কে একাই থাকতে হয়। তার পাশের রুমে বৃদ্ধা শাশুরি থাকা সত্তেও সে রাতে একা একা ভয় পায়।
সেদিন খুব গরম পড়েছিল তাই সিনথিয়া পিছনের জানালাটা খুলে দিল।
তার রুমের ঠিক পিছনেই ছিল বিশাল এক পুকুর আর পুকুরের চার পাশে অনেক গাছপালা।
আর পুকুরের অই পাশে ধান ক্ষেত। ও বলাই হয়নি যে সিনথিয়াদের বাড়িটি যে যায়গায় সেখানে আগে একটি গভীর ও পুরাতন পুকুর ছিল। তাদের উঠানে ছিল বিশাল ৩ টি নারিকেল গাছ।
সে জানালা খুলতেই চোখ গেল পুকুরের দক্ষিণ পশ্চিম কোনের দিকে। দেখলো কিছু সাদা অবয়ব দেখা যাচ্ছে, হ্যা প্রায় সাতটি মানুষ এর মত অবয়ব তাদের গায়ে আলোক উজ্জ্বল সাদা কাপড় । তারা সাবাই যেন তার দিকে এক দৃষ্টিদিয়ে তাকিয়ে আছে, সেই দৃষ্টি কেমন যেন ভয়ানক। ভয়ে সিনথিয়ার হৃৎপিন্ড চুপসে গেল। কোন রকম চোখ বন্ধ করে সে জানালা টা আটকে দিল।
মাঝরাতে সিনথিয়ার ঘুম ভেঙে গেল। তার প্রচন্ড ভয় লাগছে, যেন এখনি হৃৎপিন্ড ফেটে বেরিয়ে যাবে। সে খুব ভয়ানক একটা সপ্ন দেখেছে। কিছু লোক তার ছোট ছেলেকে তার কাছথেকে কেড়ে নিতে চাচ্ছে, তাদের গায়ে সেই ধবধবে সাদা কাপড় যা ঘুমানোর আগে পুকুরের অই পাড়ে দেখা কিছু অবয়বয়ে মত ।
সে দিন রাতে তার আর ঘুম হয়নি এবংকি সে কারো সাথে অই রাতের কথা শেয়ার করেনি।
পরদিন রাতে আবার সেই একই সপ্ন দেখল । সিনথিয়া নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলো না। অই রাতেই তার শাশুরি কে সব খুলে বললো। পরদিন দিন একজন হুজুর কে আনা হলো। হুজুর যা বললেন তা ছিল এই রকম
- " এরা হচ্ছে খারাপ প্রকিতির জীন,তারা তোমার একটি বাচ্চা কে চায় "।
একথা শুনার পর সিনথিয়ার পিঠের শিরদাঁড়া দিয়ে যেন একটা শীতল শিহরণ বয়ে গেল। সে নিস্পলক চোখে তার আদরের দুই ছেলের দিকে তাকিয়ে আছে, তার চোখ হতে গাল বেয়ে এক ফোটা অশ্রু মাটিতে গড়িয়ে পড়লো।
সেই হুজুর কিছু পানিপড়া দিল এবং বাড়িটিকে তাবিজ দিয়ে বন্ধ করে দিল।
তার পরদিন রাতে তার জানালায় শব্দ হল " ঠুক ঠুক "।
ভয়ে তার পিলে চমকে গেল। কিছুক্ষন পর দেখাগেল একটা হাত তার জানালা ভেদ করে তার দিকে এগিয়া আসছে। সে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেল। পরদিন তাকে পাওয়া গেল সেই পুকুরের দক্ষিন পশ্চিম কোনে এবং ছোট ছেলেটার শরীরের কিছি অংশ। পিচাশরা তার আদরের ছোট ছেলেকে কেড়ে নিয়েছে। বড়ছেলে তার রোমেই ছিল। কিন্ত সিনথিয়া ছোট ছেলের শোকে এখন পাগল প্রায়, তাকে এখন শিকল দিয়ে বেধে রাখতে হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন