মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

অভিমানী ভালবাসা


- শোনো , একটু অপেক্ষায় থাকো আমি আসছি .....

- কই যাও তুমি??

- বৃষ্টিবিলাস করতে .....

- জানিতো তুমি আস্ত পাগলী। তুমিতো আমাকে অপেক্ষাতে রেখে চলে যাবা। শেষ পর্যন্ত আমাকেই ফোনটা রেখে দিতে হবে .....

- হিহিহিহিহিহি ......

- এই , এমন ছাগলা হাসি হেসো না .... তোমাকে বাজে দেখায় ....

- হুহ ... কি বললা তুমি??? থাকো তুমি। আমি আর আসমু না ... জীবনেও আসমু না। ফোন দিলেও ধরমু না। হুহ পচা ... হারামি .......

- আরে .... ( টুট ... টুট .... টুট .....)

ফোনটা কেটেই দিলো ওপাশের জন। এপাশের জন হাসতে হাসতে আবার ফোন দেয়। ওপাশে একটা সুকন্ঠী নারী কন্ঠ শোনা যাচ্ছে ..... " এই মুহুর্তে সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না .." এপাশের জন অর্থাৎ অভ্র ভাবে , " পাগলীটা তাইলে প্রচন্ড ক্ষেপছে তাই ফোনটা বন্ধ করে রেখেছে। এবারও সরি টরি বলে রাগ ভাঙাতে হবে। এবার রাগ ভাঙাবো পাগলীটার বাসার সামনে ....." এরকম ভাবতে ভাবতে অভ্র রেডি হয়ে ভার্সিটি গেলো।

অতঃপর অনেক বছর পর অভ্র এসে দাঁড়িয়েছে আদ্রিতার কবরের সামনে। সাথে মৃন্ময়ী .... মৃন্ময়ী অভ্রের একমাত্র মেয়ে। নিজের মেয়ে বললে ভুল হবে। মৃন্ময়ী হলো অভ্রের নিজের মেয়ের থেকেও বড় কিছু। এই মৃন্ময়ীর মাঝে সে আবার আদ্রিতাকে পেয়েছিলো। আরে , আদ্রিতার কথা বলা হলো না। এই আদ্রিতা হলো অভ্রের পাগলীটা , অভিমানী প্রেয়সী। যে চলে গেছে নাম না জানা জায়গায়। তাকে চাইলেও ফেরানো যাবে না। বড্ড অভিমানী।

সেদিন ভার্সিটি শেষে আদ্রিতাকে বারবার ফোন দিতে থাকলো অভ্র। কিন্তু বারবার সেই এক কথাই "সংযোগ প্রদান করা সম্ভব নয়"| তারপর অভ্র ঠিক করে আদ্রিতার বাসায় যাবে। মিরপুরে "পথের শেষে " নিবাসে গিয়ে দেখে বাড়ির গেইট এ প্রচন্ড রকম ভিড়।অভ্র কিছু ভাবতে পারছে না। ভীড় ঠেলে ভেতরে ঢোকার সময় মানুষ জন বলতে থাকলো "ইশ ... আদি মেয়েটা কত ভালো ছিলো ..." "ছাদে পা পিছলে ছয় তলা থেকে পড়ে গেলো মেয়েটা ...." এসব শুনতে শুনতে আদ্রিতার ঘরের সামনে গিয়ে দেখে একটি মায়াবী মুখ টা ঘুমিয়ে আছে..."কি সুন্দর করেই না ঘুমাচ্ছে আমার পাগলীটা ... আদি তুমি ঘুমাও তোমার ঘুম ভাঙাবো না ..পরে আসবো ...." এসব বলতে বলতে কখন যে অভ্রের মাথা ঝিম করতে লাগলো বুঝেনাই অভ্র। একবারের জন্যও কাঁদে নি। একসময় কন্ট্রোল করতে না পেরে  নিচে নেমে পড়লো। বাড়ি থেকে বের হয়ে অন্যমনস্ক ভাবে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ করে ধাক্কা খেলো একটা পিচ্চি মেয়ের সাথে।অভ্র মেয়েটার দিকে একমনে তাকিয়ে থাকলো। মেয়েটা কাঁদতে শুরু অভ্র তাকে থামিয়ে বললো ,
- কিরে , ব্যাথা পাস নি তো???

- না ( কান্না মাখা কন্ঠে)

- তোর বাবা মা কই???

- নাই ....

- তাইলে কার সাথে থাকিস???

- দূর সম্পর্কের চাচির সাথে। আমাকে খালি মারে। এই জন্যই পালিয়ে এসেছি। এই দেখো দাগ ...
অভ্র মেয়েটার হাতের দাগের দিকে তাকিয়ে দেখলো আর সাথে সাথে মনটা কেমন করে উঠলো। আর অভ্রের চোখ যেনো আদ্রিতার হাত ই দেখলো। আনমনে অভ্র হঠাত্‍ বলে উঠলো , "পিচ্চি ,আমার সাথে যাবি???"

অভ্র মেয়েটাকে নিয়ে এই জনবহুল নগরীতে অগণিত মানুষের ভিড়ের মাঝে হেঁটে যাচ্ছে। দূর থেকে মনে হচ্ছে এ যেন অভ্র - মৃন্ময়ী নয় বরং হেঁটে যাচ্ছে অভ্র -আদ্রিতা ......... আর তাদের বহমান ভালবাসা।

Nilanjona Neela
22.06.2015

সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

উল্টাপাল্টা ভাবনা

- বাইরে খুব বৃষ্টি হচ্ছে। শরত্‍কালে কি বৃষ্টি হয় নাকি?? কি জানি .....মনটা কেমন যেন হচ্ছে ....

- কেমন করছে মন??

- এলোমেলো ভাবনা ....মন হারিয়ে যেতে চাচ্ছে ....বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছে .... কাঁদতে ইচ্ছে হচ্ছে .....

- আর????

- সব কিছু ছেড়ে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে ....অনেক দূরে চলে যেতে ....যেখানে কেউ আমাকে পাবে না খুঁজে....

- মায়াবিনী , তুমি যে প্রচন্ড রকম ভালো ....

- এই ভালোর মাঝে থাকতে চাই না। আকাশের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। যাতে কেউ আমাকে খুঁজে না পায়। বৃষ্টি ...আমায় নিয়ে চলো। ওই যে আসছে .... আমি গেলাম ..বিদায় ....

- না না না না .... তুমি যেও না ..প্লিজ ....

nilanjona neela
21.09.2015

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

Unknown

- এই নিয়ে কয়বার পোড়ালে আমার নাম ???

- হিসাব করে দেখিনি ..... তবে যতবার আমাদের ঝগড়া হয় ততবার পোড়ালাম আমার রাগের আগুনে ..... তুই পুড়ছিস আর আমি হাসছিলাম ..... :-P :-P

- হারামি তোরে পাইলে আমি জ্যান্ত পোড়াবো... কইয়া দিলাম .... (>_<)

- আচ্ছা ঠিক আছে পোড়াইস .... তুই যখন আমার গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিবি তখন বলবি যে " তোকে আমি ভালোবাসি না ... তোকে আমি ঘৃণা করি " তোর এই কথাগুলো শুনবো আর বলবো যে এইতো আমি তোর ভালোবাসা পেয়ে গেছি ......আমি হাসতে থাকবো আর তুই খালি চেয়ে চেয়ে দেখবি কিন্তু তুই কিছুই বুঝবি না ..... তারপর দিয়াশলাইয়ের আগুন যখন আমার দিকে ছুঁড়ে ফেলবি তখনো আমি হেসে যাবো .... আগুনের লেলিহান শিখায় যখন জ্বলতে থাকবে তখন আমি কাঁদবো আর বলবো যে আমি তোকে ভালোবাসি ..... কিন্তু আফসোস তুই সেটা শুনতে পারবি না ......... আচ্ছা আমাকে জানাইস কবে পুড়াবি আমায় ...এখন যাই বাই।

Nilanjona neela
12.09.2015

নো ভ্যাট অন এডুকেশন

নো ভ্যাট অন এডুকেশন

---লুৎফর রহমান রিটন

বোঝার ওপর শাকের আঁটি আর দিও না দাদা

নিপীড়নের ভ্যাট মানে এক নতুন গোলক ধাঁধাঁ

মধ্যবিত্ত পিতা-মাতার উঠছে নাভিশ্বাস

নিয়মিত ফি যোগাতেই ধুঁকছে বারো মাস...

বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা

উচ্চহারে ফি যোগাতে নিত্য দিশেহারা

ওদের দুঃখ ওদের কষ্ট কেউ দেখে না কেউ

রাজপথে তাই অনভ্যস্ত আন্দোলনের ঢেউ...

ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে যারা হাজার কোটি, ভাই--

তাদের ধরার ক্ষেত্রে তোমার সাফল্য তো নাই!

এই আমারই সন্তানেরা, আমারই ভাই বোন

ব্যাংক থেকে কেউ নেয়নি ওরা হাজার কোটি 'লোন'

(লুটের টাকা আগে ধরো তারপরে চাও ভ্যাট)গণমুখী অর্থনীতির এই নাকি ফরম্যাট!

খাতের কোনো অভাব আছে? চাইলে পেতে টাকা

শিক্ষা তো নয় পণ্য কোনো, বুঝতে হবে কাকা..

শিক্ষা এবং ছাত্র-ছাত্রী দুরন্ত দুই খাত

হেথায় আগুন দিও না গো পুইড়া যাবে হাত...

১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫