বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর

___[বিশ্বাস ]
#infected

_____কোন একটা সম্পর্কে বিশ্বাসই সব

____ কারো সাথে সম্পর্ক করা টা একটা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার কিন্তু
তা নষ্ট হতে কিছু মূহুর্তই যথেষ্ঠ।

___ যেমন কারো সাথে অনেক ভালো সম্পর্ক আপনার।  সে আপনাকে তার জীবনের চেয়ে বেশী ভালোবাসে! (তার কথা অনুযায়ী)
কিন্তু কোন একটা ভুল বা অবিশ্বাস এর কারণেও সেই সম্পর্ক এক মুহুর্তে ভেঙে যায়। কি আজিব বেপার ভাই।
এই কি তাহলে জীবনের চেয়ে বেশী  ভালোবাসার রুপ?!!! ;)

____ আবার দেখুন কোন একটা স্থাপত্য কর্ম সময় সাপেক্ষ ব্যাপার কিন্তু তা ভেঙে যেতে কিন্তু সেই কিছু ক্ষুদ্র সময়ই যথেষ্ট
যেমনঃ সাভারের রানা প্লাজা।

___ তাই আমাদের জীবনের সকল সম্পর্ক গুলো যেন হয় বিশ্বাস পূর্ণ।

   কথায় আছে না বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর :)

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

আমি শুধু দুটি কারণে গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করছি...

২০০৯ এর এক দুপুরে...
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সামনের টঙের
দোকানে বসে সিগারেট খাচ্ছি... গেট থেকে বের
হলেন ভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্টার কায়ুম স্যার।
সিগারেট ফেলে দিলাম।
তিনি হাত ইশারা করে আমাকে ডাকছেন...
‘কোন ব্র্যান্ডের সিগারেট ‘?
‘জী স্যার বেনসন’।
‘ দাম কত’ ?
‘ ৭ টাকা’
‘ স্যারকে দেখে সিগারেট ফেলে দেয়ার অর্থ
জানো ? এর মানে হল ৭ টাকা পানিতে নষ্ট
করা... এখন থেকে স্যারকে দেখলে সিগারেট
হাতের তালুতে লুকিয়ে ফেলবে’
তিনি একটা সিগারেট
জ্বালিয়ে আমাকে দেখালেন কী করে জ্বলন্ত
সিগারেট হাতের
তালুতে লুকিয়ে রাখা যায়... !!
কিছুদিন পর স্যারকে দেখলাম ক্লাসের
সবাইকে নিয়ে গোলটেবিলে বসলেন... সবার
সামনে খালি প্লেট... প্লেটের
পাশে কাটা চামচ এবং ছুরি রাখা।
কাটা চামচ দিয়ে কীভাবে খেতে হয় অনেকেই
জানে না...
বড় বড় সেমিনারে এসবের নাকি দরকার আছে!
তিনি শেখাতে লাগলেন...
একসময় স্যার সহ সবাইকে দেখা গেল শুন্য
প্লেটে ছুরি চামচ দিয়ে বিরিয়ানি খাচ্ছেন !
আমার দেখা একজন সত্যিকারের শিক্ষক;
যিনি একাউন্টিং পড়তে আসা ছাত্রদের
হাতে গীটার তুলে দিতেন !
আমার লিখার বিষয় বস্তু কায়ুম স্যার না;
বছরের পর বছর ছেলেমানুষি পরীক্ষা কেন
নেয়া হচ্ছে? মেধাবীর ডেফিনেশন কী? কারেন্ট
ওয়ার্ল্ড মুকস্ত করা? ১২ বছর
ইংরেজিতে পরীক্ষা দিয়ে ইন্টারে এ প্লাস
পাবার পর সাইফুরসে ভর্তি হওয়া? দশ বছর
সমাজ বিষয়ে পড়ে , নোট করে, মুকস্ত করে...
অসামাজিক জীব হওয়া?
স্বয়ং আইনস্টাইন, টমাস এডিসন
পরীক্ষা পদ্ধতির বিপক্ষে... পরীক্ষা মানুষের
ভেতরে এক ধরনের ভয় ঢুকিয়ে দেয়। ভয়
নিয়ে জ্ঞান অর্জন সম্ভব না।
কিছুদিন আগে জাফর ইকবাল স্যার বলেছেন –
যদি কোন ছাত্র হারিকেন
জ্বালিয়ে পড়তে বসে তাহলে সেই দেশের
সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে যায়... কেননা জ্ঞান
এক ধরনের সম্পদ। কথাটায় ভুল আছে...
হারিকেন জ্বালিয়ে পড়ার ফলে দেশের
সম্পত্তি বাড়ে না; এর ফলে দেশের পাশ
করা সার্টিফিকেট বাড়ে...
আমার ব্যক্তিগত ধারণা একসময়
শিক্ষা পদ্ধতি থেকে এসব উঠে যাবে। মানুষ
ক্রমেই ন্যাকামি , লোক দেখানো জগত থেকে বের
হয়ে আসছে।
আগে বাসায় মেহমান
এলে প্লেটে নাবিস্কো বিস্কুট সাজিয়ে আপ্যায়ন
করা হত... তিনি হয়ত জানেন অতিথি বিস্কুট
খাবেন না; শুধু চা দিতে কেমন দেখায়... তাই
বিস্কুট নাটকের ব্যবস্থা।
এখন জিজ্ঞাসা করা হয় , কী খাবেন?
ইউরোপে অতিথি নিজেই
রান্না ঘরে গিয়ে চা বানিয়ে খেয়ে নেয়। লোক
দেখানো ব্যাপার থেকে আমরা পুরোপুরি মুক্ত না;
ইচ্ছে না থাকা স্বত্বেও
মেয়ে বিয়ে দিলে ঈদে টাকা ধার করে দুনিয়ার
জিনিস পাঠাতে হয়...
পৃথিবী অনেক দূর যাবে... সামাজিক ভনিতা এক
সময় পৃথিবী থেকে উঠে যাবে... কারেন্ট
ওয়ার্ল্ড মুকস্ত করার মত হাস্যকর
ভর্তি পরীক্ষা উঠে যাবে...
একটা উদাহারণ দেই...
আমাদের গেটের দারোয়ানের নাম হাবীব
চাচা। আমি তাকে দুটি জিনিস শেখালাম।
১- রবীন্দ্রনাথের জন্ম সাল কত?
২- হিটলারের জন্ম কোন গ্রামে হয়েছিল?
শেখার পর হাবীব চাচা এই দুটি প্রশ্নের উত্তর
জানেন।
আমাদের এপার্টমেন্টের দ্বিতীয় তলায়
চিটাগাং ইউনিভার্সিটির একজন প্রফেসর
থাকেন। তার নাম মঞ্জুর আলম। আমি একদিন
মঞ্জু স্যারকে এই দুটি প্রশ্ন করলাম।
তিনি জবাব দিতে পারেন নি... তার পাশেই
হাবীব চাচা হাসতে হাসতে জবাব দিলেন।
এর মানে কী? হাবীব চাচা মঞ্জু স্যার
থেকে বেশি মেধাবী? অবশ্যই না...
এটা এক ধরনের তথ্যগত ইনফরমেশন...
জানা থাকলে ভাল... আমাদের প্রচলিত
শিক্ষা পদ্ধতিতে মেধার মাপ কাঠিই হল এই
তথ্যগত জ্ঞান !!
সরকারী ম্যাজিস্ট্রেট হতে হলে , বড়
আমলা হতে হলে দুনিয়ার মানুষের জন্ম সাল
মুকস্ত করবে, কোন দেশের রাজধানীর নাম
কী তা মুকস্ত করবে... যা দু মাস পর
মনে থাকবে না!
পৃথিবী অনেক দূর যাবে... ভনিতা এক সময়
পৃথিবী থেকে উঠে যাবে...
আমার নিজের কাছে মাঝে মাঝে খুব খারাপ
লাগে ; আমি নিজেও এই ভনিতার সাথে আছি।
বছরের পর বছর মুকস্ত করছি... কেন
করছি জানি না... সবাই করছে... আমাকেও
করতে হবে। অপছন্দের সাবজেক্ট
নিয়ে পড়ালেখা করছি... সবাই করছে। আমাকেও
করতে হবে।
তানাহলে এরা আমাকে বাঁচতে দিবে না...
তবে; ......
আমি শুধু দুটি কারণে গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করছি...
১- আমার আব্বু আম্মু যথেষ্ট
পড়ালেখা করেছেন। আমার আর কোন ভাই নেই।
তাদের কেউ জিজ্ঞাসা করলে যেন বলতে না হয়
যে তাদের ছেলে ইন্টার পাশ !
২ -আমার ছেলে মেয়ে হয়ত অনেক উচ্চ শিক্ষিত
হবে। তাদের বন্ধুরা যখন তাদের
জিজ্ঞাসা করবে – তোমার বাবা কত টুকু
পড়ালেখা করেছে? সেই সময় যেন তাদের মুখ ছোট
হয়ে না আসে !!

বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

ওয়েটিং ফর দ্যা বিগেস্ট ব্লক বাস্টার ইভেন্ট অফ দি ইয়ার ঢাবি এডমিশন টেস্ট ২০১৪-২০১৫

এই বনানী নামেন বনানী...........

হঠাৎ করে কার ডাকে যেন ঘোর কাটলো
চেয়ে দেখি বাসের হেল্পার আমার পাশে দাড়িয়ে বলছে মামা নামবেন না? বনানী চইলা আইছি।
এত্তখনে বুঝলাম যে আমি আসলে বাসার দিকে যাচ্চি!
তাহলে আমি গিয়েছিলাম কই?
আমার সাথে তো মখাই ও জগা ছিল।
ও এত্তখনে মনে পরছে ওরা তো মিরপুরের বাসে উঠছিল।
আমরা গিয়েছিলাম পড়ীক্ষার কেন্দ্র দেখতে।
প্রথমেই বলেরাখি "খালি কলসি বাজে বেশি" কথার মানে হইল পরীক্ষার কোন প্রস্তুতি নাই(ফেল করমু এইটা সিউর) তবু আমরা তিন বান্দর গেছি পড়িক্ষার কেন্দ্র দেখতে।
শাহবাগ থেকে গেলাম মধুর ক্যান্টিনে অইখানে বিকালের নাস্তা সেরে রিক্সায় রওনা দিলাম আজিমপুর, পথে আজিমপুর কবরস্থান দেখে মনে পড়ল আমার ভবিষ্যৎ গন্তব্যের কথা ( ঢাবির পড়িক্ষার পরই অই টা আমার গন্তব্য)।
তো যাত্রা পথে বিশাল রিক্সা জ্যাম এ পড়লাম, সারা রাজপথে রিক্সায় ভরা আমরা তখন নীলক্ষেত পার হচ্ছি।
প্রথম গন্তব্য সেই পিলখানার কেন্দ্রগুলো দেখতে পারিনি কারণ তখন রাত হয়ে গিয়েছিল(বিজিবি হেডকোয়ার্টার তো তাই বিশাল নিরাপত্তা) তাই ঢুকতে দেয় নাই।
তার পর গেলাম অগ্রনী স্কুলের দিকে

---- টুট টুট টুট লেখা লেখি কইরা মজা পাচ্ছি না।
আচ্ছা তবু বলি।
আচ্ছা বাসের সেই মজার কাহিনীর কথাই বলি।
তো বসে আছি BRTC বাসের এর ২য় তলায়, বাসে ফ্যান আছে অনেক কিন্তু ২ / ১ টা বাদে বাকি গুলা চলে না,এই দেখে রাগে এক জন পালোয়ান টাইপ লোক ফ্যানের গায়ে মারলেন এক ঘুসি। ওমা এ কি অবাক কান্ড দেখি ফ্যান চলতে শুরু করছে।
এই দেখে আমার সিটের উপরের ফ্যানের দিকে তাকাতেই দেখি ১ টা তার ছেড়া। হায় রে পোড়া কপাল (অভাগা যেখানে যায় সেখানে ফ্যানের তার ও ছিড়ে যায় ;( ) এই দিকে ঘামে আমার টি শার্ট পুরুটা ভিজে গেছে আর টপ টপ করে পানি (ঘাম) পড়ছে মুখ থেকে।
এই হইল করুন অবস্থা
ওয়েটিং ফর দ্যা বিগেস্ট ব্লক বাস্টার ইভেন্ট অফ দি ইয়ার ঢাবি এডমিশন  ২০১৪-২০১৫
;(

বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

আজাইরা লেখা লেখি

রাত ১২:০১ টি স্টলে,
আমি:অনেক দিন পর অন্য রকম ভাল লাগতেছে।
মখা ভাই:কারণ কি???
:আচ্ছা এত্ত অস্থির হচ্ছেন কেন মশাই, আমাকে বলতে দিন।
:আচ্ছা বলুন শুনি।
:সময় তখন রাত ৯:১৫ হবে।
: তার পর?
: আরে মশাই আবার কথার মাঝে হাত ঢুকাইলেন?
: আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত?
: ইটস অকে। তার পর শুনুন। আমি ৯:১৫ তে ফোন হাতে নিলাম দেখি ২টা ক্ষুদে বার্তা এসেছে।
:নিশ্চই জি এফ দিয়েছে?।
:আরে নাহ, আমার কি আর সেই কপাল আছে। তবে বার্তার নাম দেখে খুশি হইলাম, দেখি ফেক্সিলোড লেখা। তো অপেন করতেই দেখি ৫০ টাকা। তো কে পাঠাইলো বুঝতেছি না।
:নিশ্চই কেউ ভুল করে.... : হয়তো বা,তো কিছু ক্ষন পর আম্মু আমার রুমে এসে জিজ্ঞাসা করতেছে যে ফোনে টাকা পাইছিস?
কইলাম পাইছি, বাট কে দিল?
আম্মা কইল তোর আব্বা দিছে।
আমি তো পুরাই খুশি ইশ যদি প্রতি দিন না হোক সপ্তাহে এই ভাবে ফোনে টাকা দিত তো ভালই হইত।
:হঠাৎ কেন দিল কাহিনী কি?
: শুনুন, তখন বিকাল ৭:৩০ হইব। আমি এলাকার এক চটপটি দোকানে চটপটি খাচ্ছি।
:নিশ্চই গার্লফ্রেন্ড এর সাথে?
: ধূর মশাই, আগেই তো কইছি অই সব আমার নাই। তো শুনুন আব্বা ফোন দিয়া জিগাইল আমি কই আছি? তো কইলাম বাসায় যাচ্ছি। যে কাজে বের হইছিলাম তা শেষ করেত এক্টু দেরি হইছিল তো তাই।
: কি কাজ ভাই?
: আরে কি আর হইব এই তো ফ্রেন্ড দেরসাথে আড্ডা।
:নিশ্চই কোন কোচিং এর সামনে? মেয়ে দেখতেছিলেন?
:আরে মিয়া আমি অমায়িক ছেল
:ভালরা কি খারাপ হতে পারে না? চেঞ্জ হইতে আর কয় দিন লাগে বলেন?
:ঠিক কইছেন, তবে আমি অই সব কাজে যাই না।
:আপনাকে দেখলেই বুঝা যায়?
:কিভাবে?
: এই ধরেন আপনার ফোনে আপনার আব্বা
টাকা ভরে দিল।
: হে হে এই ডা ঠিক কইছেন
:তো তার পর কি হইল কাহিনী শেষ করেন!
: তার পর আব্বা জিজ্ঞাসা করলো তোমার আম্মারে ফোন দিয়া বল নাই কেন যে তোমার ফিরতে দেরি হইব!
আমি কইলাম ফোনে টাকা নাই।
:ও তাই বুঝি টাক দিল।
:হুম মনে হয় তাই, তো কি বুঝলেন মশাই?
: কি আবার বুঝব,হুদাই আজাইরা পেচাল পারলেন!
: আরে নাহ, প্রতি টা স্টোরির যেমন মোরাল থাকে এইটার ও আছে।
: কি মোরাল!??
: মোরাল হইল" আপনি যদি আপনার বাবাকে আপনার উপর আস্থা তৈরি করতে পারেন তো তিনি আপনাকে অনেক বেশি ভালোবাসবে"
:মানে আপনার বাবা আপনাকে অনেক ভালবাসে তাই না!
: হুম,কিন্তু আমি খুব চিন্তায় আছি মশাই।
: কি চিন্তা?
:এই তো ১০ তারিখে ঢাবিঃ তে পরীক্ষা আছে কিন্তু আমি কিচ্ছু পড়িনাই। বাপের দৃড় আস্থা আছে যে ছেলে কোন পাব্লিকে চান্স পাবে। কিন্তু আমি কোন আস্থা দিতে পারছি না।
:হুম ভাই, তো লেখা পড়া স্টার্ট করেন।
: ভাই প্রতিদিনই ভাবি কাল থেকে পড়া স্টার্ট করব। কিন্তু সেই কাল আর আসে না।
: ভাই এখনি বাসায় গিয়ে পড়তে বসেন!
: হুম, বলা সোজা বাট করা কঠিন। দোয়া করবেন ভাই।

মখাভাই : এই মামা ২টা চা আর ১টা গোল্ডলিফ কত হইল
চা মামা : পাচ পাচ দশ আর ছয় মোট ১৬ ট্যেকা।

আমি : আচ্ছা আসি ভাই
মখাভাই : অকে ভাই আবার কোন দিন হয়তো দেখা হবে এই চক্রাকার পৃথিবীতে। ভাল থাকবেন।
: আল্লাহ হাফেজ।
তার পর মখা ভাইয়ের সাথে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
বিঃদ্রঃ কল্পনার সাথে সত্যের মিশ্রনে এই আজাইরা লেখা লেখি
© শাকিরুল ইসলাম সোহাগ