বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

আজাইরা লেখা লেখি

রাত ১২:০১ টি স্টলে,
আমি:অনেক দিন পর অন্য রকম ভাল লাগতেছে।
মখা ভাই:কারণ কি???
:আচ্ছা এত্ত অস্থির হচ্ছেন কেন মশাই, আমাকে বলতে দিন।
:আচ্ছা বলুন শুনি।
:সময় তখন রাত ৯:১৫ হবে।
: তার পর?
: আরে মশাই আবার কথার মাঝে হাত ঢুকাইলেন?
: আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত?
: ইটস অকে। তার পর শুনুন। আমি ৯:১৫ তে ফোন হাতে নিলাম দেখি ২টা ক্ষুদে বার্তা এসেছে।
:নিশ্চই জি এফ দিয়েছে?।
:আরে নাহ, আমার কি আর সেই কপাল আছে। তবে বার্তার নাম দেখে খুশি হইলাম, দেখি ফেক্সিলোড লেখা। তো অপেন করতেই দেখি ৫০ টাকা। তো কে পাঠাইলো বুঝতেছি না।
:নিশ্চই কেউ ভুল করে.... : হয়তো বা,তো কিছু ক্ষন পর আম্মু আমার রুমে এসে জিজ্ঞাসা করতেছে যে ফোনে টাকা পাইছিস?
কইলাম পাইছি, বাট কে দিল?
আম্মা কইল তোর আব্বা দিছে।
আমি তো পুরাই খুশি ইশ যদি প্রতি দিন না হোক সপ্তাহে এই ভাবে ফোনে টাকা দিত তো ভালই হইত।
:হঠাৎ কেন দিল কাহিনী কি?
: শুনুন, তখন বিকাল ৭:৩০ হইব। আমি এলাকার এক চটপটি দোকানে চটপটি খাচ্ছি।
:নিশ্চই গার্লফ্রেন্ড এর সাথে?
: ধূর মশাই, আগেই তো কইছি অই সব আমার নাই। তো শুনুন আব্বা ফোন দিয়া জিগাইল আমি কই আছি? তো কইলাম বাসায় যাচ্ছি। যে কাজে বের হইছিলাম তা শেষ করেত এক্টু দেরি হইছিল তো তাই।
: কি কাজ ভাই?
: আরে কি আর হইব এই তো ফ্রেন্ড দেরসাথে আড্ডা।
:নিশ্চই কোন কোচিং এর সামনে? মেয়ে দেখতেছিলেন?
:আরে মিয়া আমি অমায়িক ছেল
:ভালরা কি খারাপ হতে পারে না? চেঞ্জ হইতে আর কয় দিন লাগে বলেন?
:ঠিক কইছেন, তবে আমি অই সব কাজে যাই না।
:আপনাকে দেখলেই বুঝা যায়?
:কিভাবে?
: এই ধরেন আপনার ফোনে আপনার আব্বা
টাকা ভরে দিল।
: হে হে এই ডা ঠিক কইছেন
:তো তার পর কি হইল কাহিনী শেষ করেন!
: তার পর আব্বা জিজ্ঞাসা করলো তোমার আম্মারে ফোন দিয়া বল নাই কেন যে তোমার ফিরতে দেরি হইব!
আমি কইলাম ফোনে টাকা নাই।
:ও তাই বুঝি টাক দিল।
:হুম মনে হয় তাই, তো কি বুঝলেন মশাই?
: কি আবার বুঝব,হুদাই আজাইরা পেচাল পারলেন!
: আরে নাহ, প্রতি টা স্টোরির যেমন মোরাল থাকে এইটার ও আছে।
: কি মোরাল!??
: মোরাল হইল" আপনি যদি আপনার বাবাকে আপনার উপর আস্থা তৈরি করতে পারেন তো তিনি আপনাকে অনেক বেশি ভালোবাসবে"
:মানে আপনার বাবা আপনাকে অনেক ভালবাসে তাই না!
: হুম,কিন্তু আমি খুব চিন্তায় আছি মশাই।
: কি চিন্তা?
:এই তো ১০ তারিখে ঢাবিঃ তে পরীক্ষা আছে কিন্তু আমি কিচ্ছু পড়িনাই। বাপের দৃড় আস্থা আছে যে ছেলে কোন পাব্লিকে চান্স পাবে। কিন্তু আমি কোন আস্থা দিতে পারছি না।
:হুম ভাই, তো লেখা পড়া স্টার্ট করেন।
: ভাই প্রতিদিনই ভাবি কাল থেকে পড়া স্টার্ট করব। কিন্তু সেই কাল আর আসে না।
: ভাই এখনি বাসায় গিয়ে পড়তে বসেন!
: হুম, বলা সোজা বাট করা কঠিন। দোয়া করবেন ভাই।

মখাভাই : এই মামা ২টা চা আর ১টা গোল্ডলিফ কত হইল
চা মামা : পাচ পাচ দশ আর ছয় মোট ১৬ ট্যেকা।

আমি : আচ্ছা আসি ভাই
মখাভাই : অকে ভাই আবার কোন দিন হয়তো দেখা হবে এই চক্রাকার পৃথিবীতে। ভাল থাকবেন।
: আল্লাহ হাফেজ।
তার পর মখা ভাইয়ের সাথে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
বিঃদ্রঃ কল্পনার সাথে সত্যের মিশ্রনে এই আজাইরা লেখা লেখি
© শাকিরুল ইসলাম সোহাগ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন