এই বনানী নামেন বনানী...........
হঠাৎ করে কার ডাকে যেন ঘোর কাটলো
চেয়ে দেখি বাসের হেল্পার আমার পাশে দাড়িয়ে বলছে মামা নামবেন না? বনানী চইলা আইছি।
এত্তখনে বুঝলাম যে আমি আসলে বাসার দিকে যাচ্চি!
তাহলে আমি গিয়েছিলাম কই?
আমার সাথে তো মখাই ও জগা ছিল।
ও এত্তখনে মনে পরছে ওরা তো মিরপুরের বাসে উঠছিল।
আমরা গিয়েছিলাম পড়ীক্ষার কেন্দ্র দেখতে।
প্রথমেই বলেরাখি "খালি কলসি বাজে বেশি" কথার মানে হইল পরীক্ষার কোন প্রস্তুতি নাই(ফেল করমু এইটা সিউর) তবু আমরা তিন বান্দর গেছি পড়িক্ষার কেন্দ্র দেখতে।
শাহবাগ থেকে গেলাম মধুর ক্যান্টিনে অইখানে বিকালের নাস্তা সেরে রিক্সায় রওনা দিলাম আজিমপুর, পথে আজিমপুর কবরস্থান দেখে মনে পড়ল আমার ভবিষ্যৎ গন্তব্যের কথা ( ঢাবির পড়িক্ষার পরই অই টা আমার গন্তব্য)।
তো যাত্রা পথে বিশাল রিক্সা জ্যাম এ পড়লাম, সারা রাজপথে রিক্সায় ভরা আমরা তখন নীলক্ষেত পার হচ্ছি।
প্রথম গন্তব্য সেই পিলখানার কেন্দ্রগুলো দেখতে পারিনি কারণ তখন রাত হয়ে গিয়েছিল(বিজিবি হেডকোয়ার্টার তো তাই বিশাল নিরাপত্তা) তাই ঢুকতে দেয় নাই।
তার পর গেলাম অগ্রনী স্কুলের দিকে
---- টুট টুট টুট লেখা লেখি কইরা মজা পাচ্ছি না।
আচ্ছা তবু বলি।
আচ্ছা বাসের সেই মজার কাহিনীর কথাই বলি।
তো বসে আছি BRTC বাসের এর ২য় তলায়, বাসে ফ্যান আছে অনেক কিন্তু ২ / ১ টা বাদে বাকি গুলা চলে না,এই দেখে রাগে এক জন পালোয়ান টাইপ লোক ফ্যানের গায়ে মারলেন এক ঘুসি। ওমা এ কি অবাক কান্ড দেখি ফ্যান চলতে শুরু করছে।
এই দেখে আমার সিটের উপরের ফ্যানের দিকে তাকাতেই দেখি ১ টা তার ছেড়া। হায় রে পোড়া কপাল (অভাগা যেখানে যায় সেখানে ফ্যানের তার ও ছিড়ে যায় ;( ) এই দিকে ঘামে আমার টি শার্ট পুরুটা ভিজে গেছে আর টপ টপ করে পানি (ঘাম) পড়ছে মুখ থেকে।
এই হইল করুন অবস্থা
ওয়েটিং ফর দ্যা বিগেস্ট ব্লক বাস্টার ইভেন্ট অফ দি ইয়ার ঢাবি এডমিশন ২০১৪-২০১৫
;(
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন