বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০১৪

ভালবাসা টা মনে হয় সব সময় ভুল মানুষ গুলোই পায়।

বন্ধু আমার বিড়ি সিগারেট খাইনা।
তাস
খেলতে পারেনা। রেজাল্ট বরাবরই
ভালো।এক
বারে হোমমেড
ছেলে বলতে যা বোঝায় ও
তাই। অনেক
চেস্টা করেছি ওকে বিড়ি খাওয়াতে,
বকেছি,
অপমান করেছি , জোর করেছি সবাই
মিলে তবুও
ওকে বিড়ি খাওয়াতে পারিনি।
বিকেল
থেকে বেশ কয়েকটা কল আসে আমার
ফোনে।
সবাই ওকে খুজছে -
সকালে বাসা থেকে বের
হইছে , ওকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ফোন বন্ধ।
সবাই সন্দেহ করছে মনে হয়
মেয়েটির সাথে ও
পালাইছে। যদিও আমি জানি ও
কখনো এমন
করবে না। তবুও অন্য এক জনের কাছ
থেকে নাম্বার নিয়ে মেয়েকে ফোন
দিলাম
তার ফোন ও বন্ধ। আমারও সন্দেহ
হতে লাগলো।
যেখানে ও যেতে পারে সম্ভাব্য সব
জায়গায়
ফোন দিলাম কেও ওর খোজ
দিতে পারেনা।
এদিকে ওর মা আমাকে ফোন
করে কাদে ,
বাবা অনুরধ করে - ওর ভাই থ্রেড
দেয়।কাছের
বন্ধু হিসেবে তাদের ধারনা অন্তত
আমি সব
জানি।ওকে খুজতে বের হলাম -
রাস্তায় বের
হতেই একটা রিকশার দিকে চোখ
পড়ল। ১
জোড়া কপোত কপোতি রিক্সার হুড
তুলে ,
হাতে হাত রেখে , চোখে চোখ
রেখে গল্প
করছে -- এই মেয়েটিকে আমি চিনি,
আমার বন্ধু
যার কথা রাখার জন্য
বিড়ি খাইনা ,অন্য কোন
মেয়ের দিকে তাকায় না- যে মেয়ের
বেধে দেয়া সূর্যাস্ত আইন মেনে বন্ধু
আমাদের
মায়া ত্যাগ করে সন্ধার আগেই
বাসায় ফেরে -
এইটাই সেই মেয়ে। পাশের
ছেলেটিকে আমি চিনিনা। খারাপ
লাগলো দেখে , খুব খারাপ লাগলো।
নিশ্চিন্ত
হলাম ওরা পালাইনি , কিন্তু ভয়
পাচ্ছিলাম -
আমার বন্ধু আবার উলটা পালটা কিছু
করেনি তো ?
এই
শহরে যেখানে যেখানে আমরা যায়
সব
জায়গায় খুজলাম কিন্তু পেলাম
না ওকে।
সর্বশেষ ঠিকানা শ্মশান ঘাট -
এবার
ওকে পেলাম। ছেলেটা একের পর এক
সিগারেট
টানছে। নাকের পানি , চোখের
পানি এক
হয়ে যাচ্ছে। ওর বাসায় ফোন
দিলাম- বললাম
পাইছি ওকে । একটু পর আসছি।
পাশে বসে আমিও একটা সিগারেট
ধরালাম। ১০
মিনিট কেটে গেল - কোন কথা নেই।
নিরবতা ভাঙলাম -
কবে থেকে ?
- ২ মাস।
ফাইনালি কবে ?
- গত কাল রাতে।
আগে বলিস নি কেন ? তোকে দেখেও
তো বোঝা যায়নি ?
- বললে কি হয়ত। আর বুঝিয়েই
কি লাভ হত।
তোরা শুধু ওকে ভুল বুঝতি, ওকে খারাপ
ভাবতি তাই বলিনি।
আমরা খারাপ ভাব্লেও তো তোকে এখন
এই
অবস্থায় দেখতে হত না - অন্তত
এতটা সেলফিস
তোর কোন বন্ধুই না।
- দোস্ত ও অনেক ভালো মেয়ে -
আমি চাইনা ওকে কেউ খারাপ ভাবুক।
এম্নিতেই ওর জন্য তোদের সাথে খুব
বেশি মিশতে পারিনা।
মেয়েটাকে ভুলে যা - মনে কর
যেটা হইছে ভালো হইছে।
-দোস্ত প্রথম প্রেম ভোলা যায় না।
ভুদায় একটা তুই - ১ম প্রেম বলে কিছু
নেই
দুনিয়ায় - সব ছেলেদের দুর্বল করার
ধান্দা।
একটা মানুষ ৬ বার
সত্যি সত্যি প্রেমে পরতে পারে।
১ম প্রেম
কেও ভুলতে না পারলে দুনিয়ায় কেউ
ব্রেক আপ
করত না। প্রথম প্রেম
হইতেছে আবেগ। আর
আবেগ মানেই ভুল ডিসিশন। নতুন
প্রেম কর -
সাকিবের গার্লফ্রেন্ডের রুম মেট
ফাকা আছে -
আজ রাতেই কাম হইব - কান্দিস
না তুই ।
আমি সাকিব রে ফোন দিচ্ছি।
- কেডা ঐ সাইমন্ডস ? আর আমার
দারা এসব
হবে না - দেখি ও কি করে -
আমাকে ছাড়া কিভাবে থাকে।
আরে পার্লারে গিয়ে চুল
সোজা করে নিবি।
আর সাইমন্ডস এর মত লাগবে না।
মেয়ে টা ভালো।আর কিছুই হবে না -
মেয়েরা ফেরার জন্য যায় না।
ছেলেরা হয়তেছে ওদের কাছে অপশন
এর মত -
বেটার অপশন ওরা কখনো ছারে না -
ভালোবাসা কোন ব্যাপারনা।
দেখিস ও ফিরবে -
আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না।
আমি তো ওকে চিনি।
যদি জানিস ই ও
ফিরবে তাইলে শ্মশানে এসে কাদছিস
কেন?
বিরি খাচ্ছিস কেন ?
- এমনি ইচ্ছা হয়লো তাই।
আর খাবিনা। এটা ভালো জিনিস না।
কেন্সার
হয় এটা খেলে।
- তোরা খাস কেন ?
আমরা ভক্তি দিয়ে বিরি খাই , তোর
মত
মুখে নিয়ে মুখ দিয়েই
ধোয়া ছাড়ি না।
ভক্তি দিয়ে না খেলেই কেন্সার হয়।
- আমিও শিখে যাব। দোস্ত জানিস -
আমি ওকে অনেক ভালবাসি- ওর
সাথে আমার ৫
বছরের সম্পর্ক। কখনো ওকে আমি কষ্ট
দিই নি ।
তোরা তো জানিস
ওকে আমি কতটা ভালবাসি। ও
আমাকে কষ্ট
দিল কেন ?
ও তোকে বোঝেনি -
মেয়েরা সত্যি ভালবাসা বুঝে না।
ওর
থেকে ভালো মেয়ে তুই ডিজারভ
করিস। মন
খারাপ করিস না - বাস - ট্রেন - আর
মেয়ে সব
সময় একটা গেলে আর একটা আসে। আর
দেবদাস
হতে চাইলেও পারবিনা - মদের
যা দাম ।
- তুই ও তো অপেক্ষা করিস। তুহিন
অপেক্ষা করে এখনও । কেন করিস ?
আমরা অপেক্ষা করলেও তোর মত
শ্মশানে এসে কাদি না।
সন্ধ্যা হইলে কিন্তু
এখানে ভুত আসে। চল বাসায় যায়।
৫ বছরের পরিচয়ে একটা মেয়ের জন্য
শ্মশানে এসে কাদছিস - আর তোর
মা বাবা বাসায় বসে কাদছে -- তোর
থেকে এসব আসা করা যায় না। চল
বাসায় চল।
আচ্ছা দোস্ত ছেলে টা কেরে ?
-কোন ছেলেটা ?
যে ছেলের জন্য তোদের ব্রেক আপ।
- না সেরকম কিছুনা। ওর
ফামিলি থেকে ঝামেলা করতেছে -
রিলেশন
থাকলে পড়াশোনা ঠিক মত হয় না।
তাই ও
রিলেশন রাখতে চাই না।
- ও আচ্ছা ।
দোস্তকে বলতে পারিনি রিক্সায়
আমি কি দেখেছি। খারাপ লাগছিল
ওর জন্য।এর
আগে ওকে আমি কখনো কাদতে দেখিনি।
অধিকাংশ মেয়েই ডাল - ভাত আর
বিরিয়ানির পার্থক্য বুঝেনা।তার
হয়ত বুঝেই
না তারা কি চাই।
ভালবাসা টা মনে হয় সব
সময় ভুল মানুষ গুলোই পায়।

সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৪

শোনো মেয়ে , ভালোবাসি , ভালোবাসি , ভালোবাসি , অনেক ভালোবাসি । তুমি কাছে থাকলেও বাসবো , না থাকলেও ।

শোনো মেয়ে , যেখানেই যাও না কেনো ,যার কাছেই
থাকো না কেনো , একটা কথা মনে রেখো ,
নাহ থাক , কষ্ট করে আর মনে রাখতে হবে না । মাথাতেই
রেখো ।
"একটা ছেলে ছিলো , যে তোমাকে , হ্যাঁ তোমাকেই
ভালোবাসতো , বাসে , বাসবে ও । সবচেয়ে বেশী , সবার
চাইতে বেশী ।
শোনো মেয়ে ,
ছেলেটা কাউকে বলে বোঝাতে পারবে না সে কেনো তোমাকেই
ভালোবেসেছিলো , তার কাছে এ প্রশ্নের উত্তর নেই ।
সে নিজেকেও বোঝাতে পারবে না এ কথাটা । ভালো-খারাপ ,
সুন্দর-অসুন্দর দেখে সে ভালো বাসেনি তোমায় ,
ভালোবাসার প্রয়োজনেই সে ভালোবেসে ছিলো । আর
সে বাসবে ও ।
শোনো মেয়ে , ছেলেটা তোমায় ভুলতে পারবে না ।
ভুলে যাওয়া অনেক কঠিন । এতো কঠিন কাজ
সে করতে পারবে না । সে হয়তো আর
কাছে পাবে না কখনো তোমায় , তবে সে শুধুমাত্র তোমার
হয়েই থাকবে । যতোটুকু থাকা যায় ভালোবেসে , তার চাইতেও
বেশী ।
জানো মেয়ে , একা একা হেঁটে ছেলেটা আজ বড্ড ক্লান্ত ,
কেঁদে কেঁদে হয়তো বালিশগুলো আর ভেজায় না সে ,
তবে নিঃশব্দে কাঁদে এখনো ঠিকই , তোমার জন্য
প্রতিটা মুহূর্তে । ছেলেটাকে শাসন করার মতো আর কেউ
নেই ,
তার চোখের সুরমা দেখে কেউ আর বকে না , পাওয়ার
না থাকা সত্ত্বেও চশমা পরা দেখে কেউ আর বিরক্ত হয় না
এখন , শার্টের হাতা ভাজ করতেও বলে না কেউ ।
আচ্ছা মেয়ে , আমাদের পৃথিবীতে এমন কেনো হয়
বলতে পারো ?
যারা ভালোবাসার মানেই বোঝে না তাদের কাছেই
কেনো আমরা ভালোবাসা খুজতে যাই বলতে পারো ?
যে বিশ্বাস ভাঙ্গে , তাকেই কেনো বারবার বিশ্বাস
করি আমরা বলতে পারো ?
হাত ধরে হেঁটে যাওয়া অচেনা দুজন মানুষের
মাঝে কেনো আমাদের খুঁজে ফিরি বলতে পারো ?
পিসি তে রিপিট মোডে বেজে চলা গানের
প্রতিটি শব্দে কেনো সেই মানুষ টাকেই অনুভব
করি বলতে পারো ?
হাসির পেছনে কেনো হাজার কষ্ট লুকোতে হয় বলতে পারো ?
শোনো মেয়ে , ভালো থেকো , ভালোবাসায় থেকো !!!
ছেলেটাকে নিয়ে ভাবতে হবে না আর । সবাই ভাবে ,
ছেলেটা ভালোই আছে ।
আর ছেলেটা দীর্ঘশ্বাস
ফেলতে ফেলতে ভাবে ,ভালোবাসাহীনতায়
,মেয়েটাকে ছাড়া সে সত্যিই ভালো নেই ।
নতুন করে ভালো থাকার উপায় থাকা সত্ত্বেও সে উপায়
খোজে না , সে একা একা ভালো থাকতে চায় না মেয়ে ।
এতোটাই ভালোবাসে সে তোমায় ,কোনো পরিণতি নেই
জেনেও ।
শোনো মেয়ে , ভালোবাসি , ভালোবাসি , ভালোবাসি ,
অনেক ভালোবাসি ।
তুমি কাছে থাকলেও বাসবো , না থাকলেও ।

ভালোবাসি তোমাকে তোমাকে আর তোমাকে..!!!

আমি এখনও অপেক্ষায় আছি
যদি কখনও ভুল করে বলে ফেলো ভালোবাসি।
এমন কিছু ক্ষতি হবেনা পৃথিবীর
বদলে দিতে হবে না কোন সংবিধান,
কমে যাবে দীর্ঘশ্বাস আর অপেক্ষার জন্ম
নিবে আরেকটি নতুন সুখ সত্তার।
আমি এখনও অপেক্ষায় আছি
যদি অন্যায়গুলো অনুশোচনায় বদলে যায়
এমন কিছু ক্ষতি হবে না সময়ের,
হারিয়ে যাবে দুঃখ আর হতাশা
জন্ম নিবে আরেকটি কাঙ্খিত পৃথিবীর।
আমি এখনও অপেক্ষায় আছি
যদি ভুল করে বলে ফেলো
আমি, আমরা অনুশোচনায় কাতর
নিজের মত
ভালোবাসি তোমাকে তোমাকে আর
তোমাকে..!!!

নিরন্তর ভালোবাসা - দুই >>আবুল খায়ের সজীব

আমি লক্ষ্য করিনি তোমার গলার
নিচে জোড়া তিল আছে ,
অথচ,আমার আঙ্গুলের
ফাঁকে লুকিয়ে থাকা ছোট্ট তিলটিও
তোমার নজরে পড়েছে ।

আমি কখনোই তোমার সুদীঘল চুলে নজর দেই নি,
অথচ,আমার শার্টের বোতাম খোলা রোমশ বক্ষ তোমার নজর এড়ায় নি ।

অভিমানে ঘেমে ওঠা তোমার
নাকে কখনোই আমার চোখ পড়ে নি,
অথচ,রাগের সময় আমার শক্ত
হওয়া চোয়ালও তোমার চোখে পড়েছে ।

তোমার চলার ছন্দে ছমছম নূপুরের ধ্বনি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেনি,
অথচ,সামান্য বাতাসে আমার
উড়তে থাকা চুলও তোমার চোখ এড়ায় নি ।

ব্যস্তময় যান্ত্রিক যোগাযোগে কখনোই আমার চোখে আসেনি তোমার দুলে ওঠা শরীর ,
অথচ,আমার পুরুষ হয়ে ওঠার কোন কিছুই তোমার নজর এড়ায় নি ।

আমি জানি তোমার ভীষণ অভিমান হয় ।
কিন্তু কি করবো বলো-
যে চোখ দিয়ে তুমি আমাকে এতোখানি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছো
সেই চোখকে যে প্রথম দেখাতেই আমার বড় বিশ্বাসী মনে হয়েছে ।
আর জানো তো-
বিশ্বাসের আগুন বড় ভয়ংকর ।
একেবারেই সব ভস্ম করে দেয় ।

আর ভস্মিভুত হৃদয় যখন তোমার
কোলে মাথা রাখে,
আলতো করে মাথায় হাত
বুলিয়ে দিয়ে তুমি তখন আমায় বলো-
তুমি বড্ড পাগল গো !!

রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৪

আমি তার প্রেমে পড়ে গেলাম

আমি ড্যাবড্যাব চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছি । এ
আমি কি দেখছি !! এত সুন্দর হতে পারে কেউ ? আজ
৩ দিন ধরে আমি সুন্দরের পূজারি । এর আগে কিরকম
ছিলাম জানিনা । আমি প্রায় সময় হাসি-কান্না নিয়েই
ব্যস্ত থাকি । কিন্তু এই মেয়েটাকে দেখে আমার
হাসি-কান্না পর্যন্ত থেমে গেছে ।
সে আমার হাত ধরে আছে । হাসি হাসি মুখে আমার
দিকে তাকিয়ে ও আছে । ওর চোখে আমার চোখ,
হাতে আমার হাত ।
যে কেউ জেনে অবাক হবে যে , আমি আর
সে যে রুমে আছি, সেই রুমে আমার আব্বু আম্মু ও
আছে, ভাইয়া ও আছে । আরেকজন
মহিলা কে আমি চিনিনা, হয়তো বা এই মেয়েটার
মা হবে । আমি লজ্জায় একদম লাল হয়ে যাচ্ছি ।
মেয়েটার কি লজ্জা শরম বলে কিছুই নেই ? এতজন
লোকের সামনে আমার হাত ধরে বসে আছে । কে কখন
কি করবে তার কোন ঠিক নেই ।
কিন্তু আশ্চর্যের ব্যপার হল যে, আমার আব্বু-
আম্মু, ভাইয়া, এমন কি ঐ মেয়েটার মা, তারা সবার মুখ
হাসি হাসি । আমি ভয়ার্ত নয়নে চারিদিকে তাকাচ্ছি ।
যার দিকেই তাকাচ্ছি, সে হাত তালি দিচ্ছে,
মনে হচ্ছে যেন, আমাকে বলছে চালিয়ে যাও,
চালিয়ে যাও !! কিন্তু এরকম তো হবার কথা না !
আমি জানতাম পৃথিবী টা এমন না, কিন্তু এ
আমি কোন পৃথিবী দেখছি ?
যাই হোক, এরকম সুযোগে সবাই এডভান্টেজ নেয় ।
আমি ও অপেক্ষায় আছি । মেয়েটা কিছুক্ষন পর ই
সবার সামনে আমাকে জড়িয়ে ধরল । বলা যায় কোলেই
তোলে নিলো । তারপর
যে কাজটা করলো সেটা শোনলে কেউ বিশ্বাস
করতে পারবে না শিউর । চকাস করে আমার
গালে একটা চুমু দিয়ে দিলো মেয়েটা । এবং তার নিজের
গাল ও আমার দিকে বাড়িয়ে দিলো । ঘটনার
আকস্মিকতায় আমি ভাষা হারিয়ে ফেললাম । নিরুপায়
হয়ে আমার আম্মুর দিকে তাকালাম । আম্মু
আমাকে বলল বাবু, চুমু দাও !!! এত এত লোকের
সামনে আমাকে বাবু বলে ডাকছে একটু
লজ্জা লাগলো, তা ও কিছু বললাম না । মেয়েটার
ফর্সা গালে আমিও চকাস শব্দ তুললাম, মায়ের আদেশ
বলে কথা ! আমি অপেক্ষায় আছি কখন আমার
ভাইয়া এসে আমার ছোট ছোট চুল গুলো ধরে এক টান
দেবে । অথবা আব্বু এসে থাবড়া লাগাবে । কিন্তু
কিছুই হল না ।
অতঃপর আমি অনুধাবন করিতে পারিলাম যে, এই
সুন্দরী মেয়ে এবং আমার মাঝে যা কিছু
হচ্ছে এবং অদূর অথবা সুদূর ভবিষ্যতে যা কিছু হইবে,
তাতে আমার আব্বাজান, আম্মাজান, ভাইজান ,
এবং সুন্দরীর আম্মাজানের ও কোন আপত্তি নাই ।
সুতরাং আমি এক ভুবন ভুলানো হাসি দিয়ে সুন্দরির
দিকে একখানা চোখ টিপ মারিলাম ।
সুন্দরী হেসে দিলো । আহ !!! আহ!তার হাসি এত সুন্দর
কেন ? আমি তার প্রেমে পড়ে গেলাম ।
ভালবাসা প্রেম, এগুলু আমি চিনিনা । তবুও
তাকে কেমন যেন একটা আপন আপন লাগল ।
হঠাৎ করে আমার খেয়াল হল যে আমার শরীরে কাপড়
চোপড় কিঞ্চিৎ অল্প । আমি ছটফট করা শুরু করলাম
। এটা কি হল ?? এতজন মানুষের সামনে আমি এই
অবস্থায় ছিলাম ? আমি ছটফট করতে লাগলাম ।
আম্মু বলল “সাদিয়া একটু সামলে ধরো,
পড়ে যাবে তো ! এখনও যদি ৪ বছরের ছোট খালাত
ভাই কে কোলে নিতে না পার, তাহলে আর কখন
পারবে ?! ”
আমি আম্মাজানের দিকে তাকাইলাম । আম্মা বলল,
এটা তোর বড় আপা, এখনও তো বয়স হয় নাই, তুই
চিনবি কিভাবে ?
তাহলে মেয়েটা আমার খালত বোন ? ৪ বছরের বড় ?
তাহলে আমার ফ্যামিলির সবাই
মিলে আমাকে ছেঁকা দিলো ? এই কষ্ট সহ্য করা যায় ?
অতঃপর সহ্য করতে না পেরে আমার প্রথম ক্রাশ
সাদিয়া ওরফে চার বছরের বড় খালাতো বোনের উপর
হিসু করে দিলাম । আম্মাজান আমাকে তাৎক্ষনিক
কোলে নিয়ে বলল, ওহো !!! আগেই ড্রাইপার
পড়ানো উচিত ছিল । আমি কাঁদতে লাগলাম । আর
মনে মনে বললাম , মাত্র তিন দিন বয়সেই প্রথম
ছেঁকা টা খেলাম ?

বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৪

নীল, পরী এবং একটি ভালবাসার গল্প (১)


- কিরে কি খবর তোর?
- কোন খবর নাই
- মানে কি? কবে আসবি?
- জানিনা
- জানি না বললেই হবে? এতোদিন কেউ বাসায়
থাকে নাকি? গাধা একটা।
- হুম
- বল না কবে আসবি? কতদিন ঘুরতে যাই না।
- আসব আসব। এইতো কয়েকদিন পরই আসব।
- একসাথে বসে আমাকে জোছনা দেখানোর
কথা মনে আছে তো?
- হুম আছে
- আর আমি যে তোকে তিনটা চিঠি লিখতে বলছি,
তা কি লিখছিস?
- হুম লেখার চেস্টা করছি
- চেস্টা করলে চলবে না। লিখে আনবি। আর
হ্যাঁ তোকে যে বলছিলাম কোন এক
জোছনা রাতে আমার বাসার নিচে এসে ফোন
দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবি আর আমি উপর
থেকে তোকে দেখব সেটা কি মনে আছে?
- হুম আছে। এতো কিছু করতে পারব না।
আমি কি তোর বয়ফ্রেন্ড লাগি নাকি? তোর জন্য
এতো কিছু করা লাগবে? তোর বয়ফ্রেন্ডকে এসব
করতে বলিস।
- না তুই আমার বয়ফ্রেন্ড না। তুই আমার জামাই
লাগস। একবার বউ বলে ডাক তো। কতদিন ডাকিস
না গাধা।
- ঠিক আছে বউ রাখি। পরে কথা হবে।
পরী আর নীল। দুজনে বেস্ট ফ্রেন্ড। এক দুই বছর
না পাক্কা চৌদ্ধ বছরের ফ্রেন্ডশীপ। সেই ছোট্ট
বেলা থেকে বন্ধুত্ব তাদের। একে অপরকে জামাই বউ
বলে সম্বোধন করে। পরী চাঞ্চল্যে ভরা একটা মেয়ে।
সবসময় হাসিখুশি আর সকলের সাথে মাস্তিতে ব্যস্ত
থাকে। নীল, ইন্ট্রোভাট টাইপের খুব চাপা স্বভাবের
একটা ছেলে হলেও বন্ধুদের আড্ডায় সবসময়
হাসিখুশি থাকার চেস্টায় ব্যস্ত থাকে। অনেক সময়
পারে অনেক সময় পারে না। মাঝে মধ্যে টুকটাক
কবিতা লেখার চেস্টা করে। আর কিছুটা পাগল
টাইপের। মাথার ভিতর যত সব পাগলাটে চিন্তাভাবনা।
একা একা রাস্তায়
হাঁটা অথবা হাইওয়েতে বৃষ্টিতে ভিজা নয়তো নির্ঘুম
চোখে রাতের আকাশে তারা গুণা আর হঠাত্ করেই
নিরুদ্দেশ হওয়া এসব তার পাগলামির অংশবিশেষ। আর
সমস্ত পাগলামির একমাত্র সাক্ষি এই পরী। নীলের
আনন্দ কষ্ট আর কেউ বুঝতে না পারলেও পরী ঠিকই
বুঝে।
(২)
- কই তুই?
- এইতো আসতেছি। পাঁচ মিনিট।
- আমি কতক্ষণ যাবত তোর জন্য দাঁড়িয়ে আছি আর
তুই বলতেছিস পাঁচ মিনিট।
- স্যরি দোস্ত। জ্যামে আটকা পরছি।
- ঠিক আছে তারাতারি আয়। ফুলের দোকানের
সামনে আসবি।
-আচ্ছা
-কোনসময় তুই কি দেখছিস কোন মেয়ে কোন ছেলের
জন্য দাঁডায় থাকে? আর তুই কিনা আমায় পুরা এক
ঘন্টার মতো দাঁড় করায় রাখলি? ইচ্ছা করতেছে তোর
চুলগুলা টেনে ছিড়ি।
- ঠিক আছে তোর যা ইচ্ছা তাই কর। তাও রাগ করিস
না। রাগলে তোকে পেঁচার মত লাগে।
- তোর সাথে কোন কথা নাই। আমার সামনে থেকে দূর

- স্যরি স্যরি স্যরি। এখন বল কোনদিক যাবি?
রবীন্দ্রসরোবর না চন্দ্রিমা উদ্যানের সেই লেকটার
পাশের সেই সিডিঁতে?
- তুই কি এই দুই জায়গা ছাড়া কিছুই চিনিস না? চল
সেই সিঁডিতে গিয়েই বসি
- হুম চল। দীঘির জলে তোকে চাঁদের ছায়া দেখাই।
(৩)
- কিরে তাকিয়ে তাকিয়ে কি দেখিস?
- তোকে দেখতেছি জান
- ও রিয়েলি! তা জান এভাবে দেখে লাভ?
- সবকিছু লাভ ক্ষতি দিয়ে হিসাব করতে নেই। চাঁদের
আলোয় তোকে খুব সুন্দর লাগছে
- হয়ছে চাপা দেওয়া বন্ধ
- আমার কথা কি তোর চাপা মনে হয়?
- হুম। ফাজিল, বদমাইশ, বান্দর একটা। আজ সারাদিন
কয়টা সিগারেট খাইছিস?
- জানি না
- জানি না মানে কি? সত্যি করে বল কয়টা সিগারেট
খাইছিস?
- বেশি না, সারাদিনে মাত্র দশ বারোটা হবে হয়তো
- গাধা তোর লজ্জা নাই। এতোবার করে বললাম
সপ্তাহে তিনটার বেশি খাবি না। মনে থাকে না আমার
কথা?
- স্যরি দোস্ত তোর সব কথাই মানতে পারব শুধু
এটা ছাড়া
- আমার চেয়ে তোর কাছে সিগারেটই যখন বড় তখন
আমাকে ছেডে সিগারেট নিয়েই থাক আর আমার
সাথে আর কথা বলবি না
- ঠিক আছে জান এখন থেকে তিনটা করেই খাব তাও
রাগ করিস না
- মনে যেন থাকে
- তথাস্তু দস্যুদেবি
(৪)
নীল পরীকে অসম্ভব রকমের ভালবাসলেও কোনদিন
তাকে সে তার ভালবাসার কথা প্রকাশ করতে পারেনি।
শুধু মাঝে মাঝে কবিতার ছন্দে সে তার
ভালবাসা প্রকাশ করত। পরীও নীলকে ভালবাসত।
কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার জন্য সেও তার
ভালবাসা প্রকাশ করেনি। কারন সে রক্ষণশীল হিন্দু
পরিবারের মেয়ে আর নীল মুসলমান। নীল একদিন
সাহস করে
- আমি যে তোকে খুব ভালবাসি এটা কি তুই জানিস?
- হুম জানি। কিন্তু আমাকে ভালবাসার দরকার নাই।
কেন এতো ভালবাসিস? কষ্ট পাবি তুই।
- ভালবাসার জন্য কোন কারন লাগে না তাই ভালবাসি
- এটা কোনদিনও সম্ভব না
- তো কি হয়ছে?
- অনেক কিছু। আমি তোকে কষ্ট দিতে চাই না। তাই
বলছি আমায় ভুলে যা।
- ভুলে যাওয়ার জন্য তো ভালবাসিনি। আর
আমি তো তোকে বলছি না আমাকেও ভালবাসতে হবে।
আমি আমার মতো করে তোকে ভালবেসে যাব। কিন্তু
তোকে কোনদিন ভুলতে পারব না।
- আমিও যে তোকে ভালবাসি এটাও যেমন সত্য
তেমনি আমাদের ভালবাসা কেউ মনে নেবে না এটাও
তেমন ঠিক
- আমি মুসলমান আর তুই হিন্দু বলে?
- হুম। আর মাত্র কয়েক বছর পরই হয়তো আমার
বিয়ে হয়ে যাবে তখন তুই বেশি কষ্ট পাবি। তাই
বলছি এখনই আমায় ভুল যা।
- তোকে ভুলে থাকা যে সম্ভব না। আমি যে তোকে খুব
ভালবাসি।
পরী নীলকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে। পরীর চোখের
জলে নীলের কাঁধ ভিজে যাচ্ছে। নীল আকাশের
দিকে তাকিয়ে মেঘের আনাগোনা দেখছে। আর
সিগারেটের ধোঁয়ার সাথে তার
চিন্তাগুলা উড়িয়ে দিচ্ছে। প্রকৃতির
খেয়ালে তারা আজ যতোটা কাছে হয়তো একদিন
ততোটাই দূরে চলে যাবে নয়তো না.. নীলের
ভালবাসায় ভেসে যাচ্ছে পরী এক অনিশ্চিত
ভবিষ্যতের পানে।

মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০১৪

আপনার কলেজের HSC 2014 এর রেজাল্ট জানুন সবার আগে

২০১৪ সালের এইচ এস সি ও সমমানের পরীক্ষার ফল আগামীকাল (১৩ আগষ্ট,২০১৪) প্রকাশিত হবে। আমরা সবাই চাই আগে আগে ফল পেতে। কিন্তু আমাদের দেশের ইন্টারনেটের যে গতি প্রায়শ দেখা যায় রেজাল্টের দিন শিক্ষা বোডের ওয়েব সাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। তাই আমরা ভিন্ন পদ্ধতিতে পরীক্ষার ফল পেতে পারি। আসুন আমরা এবার দেখি কিভাবে আগে আগে পরীক্ষার ফল পেতে পারি।

গতবারের ন্যায় এবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ই-মেইল এর মাধ্যমে ফল পাঠানো হবে। শিক্ষাবোর্ড সমূহের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ই-মেইল আইডি তৈরী করা হয়েছে।

কোন প্রতিষ্ঠানের ই-মেইল আইডির ধরন হবেঃ

[সংশ্লিষ্ট বোর্ডের নামের ১ম তিন অক্ষর][প্রতিষ্ঠানের EIIN নাম্বার]@educationboard.gov.bd

উদাহরণসরূপঃ ঢাকা বোর্ডের কোন প্রতিষ্ঠানের(শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজ) EIIN নাম্বার যদি 132127 হয় তবে ঐ প্রতিষ্ঠানের ই-মেইল আইডি হবে dha132127@educationboard.gov.bd এবং পাসওয়ার্ড হবে EIIN নাম্বার অর্থাৎ 132127

উল্লেখ্য,  http://www.dshe.gov.bd/EIIN/EIIN.php এখানে ক্লিক করে সারা দেশের সব প্রতিষ্ঠানের EIIN নাম্বার বিভাগ ভিত্তিক ডাউনলোড করা যাবে। না পেলে google এ সার্চ দিন।

ই-মেইলে পরীক্ষার ফলসহ যাবতীয় তথ্যাদি পাওয়ার জন্য নিন্মের ধাপগুলো অনুসরন করতে হবেঃ

প্রথমে http://mail.educationboard.gov.bd/web/ এই ঠিকানায় যান। তারপর Email Address এর ঘরে ই-মেইল আইডি এবং Password এর ঘরে EIIN নাম্বার লিখে Login বাটনে ক্লিক করুন। উক্ত প্রতিষ্ঠানের সম্পূর্ণ Result Sheet টা বের হবে। এরপর CTRL + S চেপে পাতাটি সেভ করুন অথবা Print রেজাল্ট এ ক্লিক করে প্রিন্ট করুন কিংবা Save as PDF করুন।

বিদ্রঃ কোন প্রতিষ্ঠান যদি তাদের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলে তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট দেখতে পারবেন না। এই ট্রিকসটি শুধু সেইসব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কাজ করবে যাদের প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার শিক্ষক তাদের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেন নাই। তাই কেউ কেউ রেজাল্ট এই পদ্ধতিতে নাও পেতে পারেন !

মোবাইলের মাধ্যমে ফল পেতে নিচের নির্দেশনা অনুসরন করুনঃ

HSC (স্পেস) first 3 latter of your board name(স্পেস)Roll No (স্পেস)Passing year

পাঠিয়ে দিন 16222 নাম্বারে

মাদ্রাসা বোর্ডের রেজাল্টঃ

ALIM (স্পেস) MAD (স্পেস) Roll No (স্পেস) Passing year

পাঠিয়ে দিন 16222 নাম্বারে

টেকনিক্যাল বোর্ডের রেজাল্টঃ

HSC (স্পেস) TECH (স্পেস) Roll No(স্পেস)Passing year

পাঠিয়ে দিন 16222 নাম্বারে

মোবাইল রেজিস্ট্রেশন করতেঃ

Reg (স্পেস) HSC(স্পেস) first 3 latter of your Board Name(স্পেস)your Roll Number 2014

পাঠিয়ে দিন 16222 নাম্বারে

আশা করি আমার এই পোষ্টটা ফলপ্রত্যাশীদের কাজে লাগবে।
সবার ভালো ফলের প্রত্যাশায় শেষ করছি।।

সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০১৪

মেয়েদের সারাক্ষণ একটাই ভয়। যে ভয়টা শুধু তার মেয়েবেলাকেই নষ্ট করেনি; নষ্ট করবে তার পুরো জীবন।

মেয়ে হয়ে জন্ম নেয়ার সব থেকে বড় কষ্ট হল
তাকে সারাক্ষণ ধর্ষণের ভয় নিয়ে বড় হতে হয়। এই
ভয়ংকর ব্যাপারটি তাকে খুব ছোট বেলা থেকে বিভিন্ন
ইশারায় বোঝানো হয়।
একসময় কোলে নিয়ে পিঠে হাত বোলানোর ভেতরেও
সে অন্য কিছু টের পায়। এই
ব্যাপারটা মা কে বলতে গিয়েও সে বলতে পারে না।
উল্টো বকা খাবার ভয়ে সে কাউকে বলবে না।
কাউকে না।
কার্টুন দেখার বয়সেই তাকে বোঝানো হয়
একা ছাদে যাবে না। একা ছাদ ভাল না।
যে বয়সে এরা হাড়িপাতিল নিয়ে নকল নকল
রান্না খেলা শিখে সেই বয়সেই এরা একদিন
মাকে গিয়ে ফিসফিস করে – এই হুজুরের
কাছে কিংবা শিক্ষকের কাছে আমি পড়ব না।
মেয়েদের শৈশব বলে আসলে কিছু নেই। রোজ সন্ধ্যায়
বর্ণমালা শেখানোর পাশাপাশি এদের অনেক
নীতিমালা শেখানো হয়। পশুদের হাত থেকে বাঁচার
নীতিমালা জেনে এরা সাত বছর বয়সেই একুশ বছরের
তরুণী হয়ে যায়।
আচ্ছা একুশ বছরের তরুণী কী খুব নিরাপদ? খুব ভাল
এক বন্ধু বাসায় যেতে বলল। ধরুন মোভি দেখার জন্যই
আসতে বলেছে। তারপরেও তরুণী মনে সবার
প্রথমে প্রশ্ন জাগবে –বাসায় কেন? বাসা কী খালি?
কোন প্রোগ্রামে গেছে। ফিরতে রাত
এগারোটা বাজবে। আমি দেখেছি অনেকের
মা এসে উপস্থিত হয়। কিসের ভয় এদের? ছিনতাই?
ডাকাতের? পুলিশের?
না...
মেয়েদের সারাক্ষণ একটাই ভয়। যে ভয়টা শুধু তার
মেয়েবেলাকেই নষ্ট করেনি; নষ্ট করবে তার
পুরো জীবন।