রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৪

আমি তার প্রেমে পড়ে গেলাম

আমি ড্যাবড্যাব চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছি । এ
আমি কি দেখছি !! এত সুন্দর হতে পারে কেউ ? আজ
৩ দিন ধরে আমি সুন্দরের পূজারি । এর আগে কিরকম
ছিলাম জানিনা । আমি প্রায় সময় হাসি-কান্না নিয়েই
ব্যস্ত থাকি । কিন্তু এই মেয়েটাকে দেখে আমার
হাসি-কান্না পর্যন্ত থেমে গেছে ।
সে আমার হাত ধরে আছে । হাসি হাসি মুখে আমার
দিকে তাকিয়ে ও আছে । ওর চোখে আমার চোখ,
হাতে আমার হাত ।
যে কেউ জেনে অবাক হবে যে , আমি আর
সে যে রুমে আছি, সেই রুমে আমার আব্বু আম্মু ও
আছে, ভাইয়া ও আছে । আরেকজন
মহিলা কে আমি চিনিনা, হয়তো বা এই মেয়েটার
মা হবে । আমি লজ্জায় একদম লাল হয়ে যাচ্ছি ।
মেয়েটার কি লজ্জা শরম বলে কিছুই নেই ? এতজন
লোকের সামনে আমার হাত ধরে বসে আছে । কে কখন
কি করবে তার কোন ঠিক নেই ।
কিন্তু আশ্চর্যের ব্যপার হল যে, আমার আব্বু-
আম্মু, ভাইয়া, এমন কি ঐ মেয়েটার মা, তারা সবার মুখ
হাসি হাসি । আমি ভয়ার্ত নয়নে চারিদিকে তাকাচ্ছি ।
যার দিকেই তাকাচ্ছি, সে হাত তালি দিচ্ছে,
মনে হচ্ছে যেন, আমাকে বলছে চালিয়ে যাও,
চালিয়ে যাও !! কিন্তু এরকম তো হবার কথা না !
আমি জানতাম পৃথিবী টা এমন না, কিন্তু এ
আমি কোন পৃথিবী দেখছি ?
যাই হোক, এরকম সুযোগে সবাই এডভান্টেজ নেয় ।
আমি ও অপেক্ষায় আছি । মেয়েটা কিছুক্ষন পর ই
সবার সামনে আমাকে জড়িয়ে ধরল । বলা যায় কোলেই
তোলে নিলো । তারপর
যে কাজটা করলো সেটা শোনলে কেউ বিশ্বাস
করতে পারবে না শিউর । চকাস করে আমার
গালে একটা চুমু দিয়ে দিলো মেয়েটা । এবং তার নিজের
গাল ও আমার দিকে বাড়িয়ে দিলো । ঘটনার
আকস্মিকতায় আমি ভাষা হারিয়ে ফেললাম । নিরুপায়
হয়ে আমার আম্মুর দিকে তাকালাম । আম্মু
আমাকে বলল বাবু, চুমু দাও !!! এত এত লোকের
সামনে আমাকে বাবু বলে ডাকছে একটু
লজ্জা লাগলো, তা ও কিছু বললাম না । মেয়েটার
ফর্সা গালে আমিও চকাস শব্দ তুললাম, মায়ের আদেশ
বলে কথা ! আমি অপেক্ষায় আছি কখন আমার
ভাইয়া এসে আমার ছোট ছোট চুল গুলো ধরে এক টান
দেবে । অথবা আব্বু এসে থাবড়া লাগাবে । কিন্তু
কিছুই হল না ।
অতঃপর আমি অনুধাবন করিতে পারিলাম যে, এই
সুন্দরী মেয়ে এবং আমার মাঝে যা কিছু
হচ্ছে এবং অদূর অথবা সুদূর ভবিষ্যতে যা কিছু হইবে,
তাতে আমার আব্বাজান, আম্মাজান, ভাইজান ,
এবং সুন্দরীর আম্মাজানের ও কোন আপত্তি নাই ।
সুতরাং আমি এক ভুবন ভুলানো হাসি দিয়ে সুন্দরির
দিকে একখানা চোখ টিপ মারিলাম ।
সুন্দরী হেসে দিলো । আহ !!! আহ!তার হাসি এত সুন্দর
কেন ? আমি তার প্রেমে পড়ে গেলাম ।
ভালবাসা প্রেম, এগুলু আমি চিনিনা । তবুও
তাকে কেমন যেন একটা আপন আপন লাগল ।
হঠাৎ করে আমার খেয়াল হল যে আমার শরীরে কাপড়
চোপড় কিঞ্চিৎ অল্প । আমি ছটফট করা শুরু করলাম
। এটা কি হল ?? এতজন মানুষের সামনে আমি এই
অবস্থায় ছিলাম ? আমি ছটফট করতে লাগলাম ।
আম্মু বলল “সাদিয়া একটু সামলে ধরো,
পড়ে যাবে তো ! এখনও যদি ৪ বছরের ছোট খালাত
ভাই কে কোলে নিতে না পার, তাহলে আর কখন
পারবে ?! ”
আমি আম্মাজানের দিকে তাকাইলাম । আম্মা বলল,
এটা তোর বড় আপা, এখনও তো বয়স হয় নাই, তুই
চিনবি কিভাবে ?
তাহলে মেয়েটা আমার খালত বোন ? ৪ বছরের বড় ?
তাহলে আমার ফ্যামিলির সবাই
মিলে আমাকে ছেঁকা দিলো ? এই কষ্ট সহ্য করা যায় ?
অতঃপর সহ্য করতে না পেরে আমার প্রথম ক্রাশ
সাদিয়া ওরফে চার বছরের বড় খালাতো বোনের উপর
হিসু করে দিলাম । আম্মাজান আমাকে তাৎক্ষনিক
কোলে নিয়ে বলল, ওহো !!! আগেই ড্রাইপার
পড়ানো উচিত ছিল । আমি কাঁদতে লাগলাম । আর
মনে মনে বললাম , মাত্র তিন দিন বয়সেই প্রথম
ছেঁকা টা খেলাম ?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন