বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৪

অন্তর্ঘাতের তৃতীয় পর্যায়

অন্তর্ঘাতের তৃতীয় পর্যায়
-- শাকিরুল ইসলাম

অনুভূতি বিহীন নিথর মাংসপিণ্ড আমি
যাতে নেই অনুশোচনার দশমাংশ
অনুতাপ।
মায়ের শত
আশাকে মাটিতে মিশিয়েও
অনায়াসে মৃদু
মুখচ্ছবি নিয়ে দিব্যি ঘুরেবেড়াই
বাবার শত বকার পরেও যার প্রতিক্রিয়া
শুধুই হুম নামের একটি শব্দেই থেমে যায়
পরম সৌভাগ্য নিয়ে জন্মেছিলাম
নয়তো এখন আমার অন্তর্ঘাতের তৃতীয়
পর্যায়
না সেই অরিক্ত মুহর্ত আমাকে গ্রাস
করেনি
কেন এ ধ্রুব রক্তপাম্প নিয়ে বেচে আছি!
মনোবিকাশের নিউরেটিক
প্রতিক্রিয়া আজ মৃতপ্রায় আশা বলতে শুধুই
একটি দিন নিঃশব্দে বেচে থাকা
আজ আমার অন্তর্ঘাতের তৃতীয় পর্যায়
সূচনা বর্ণনা না পেরিয়েই উপসংহারে
আমি এসে দাড়িয়েছি হিমালয়ের
শেষপ্রান্তে
হয়তো কোন এক
আলতো স্রোতে ধেয়ে আসা হাওয়ার
তোড়ে
আমি হারিয়ে যাবো হিমালয়ের
পাদদেশে
তবু বলছি হারিয়ে যেতে দিওনা
বাচার জন্যই বেচে থাকা
হোক না তা অন্তর্ঘাতের তৃতীয় পর্যায়
[০১/১২/২০১৪]

শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৪

শিহরণ

*** শিহরণ

এক অজ পাড়া গায়ে সিনথিয়ার বিয়ে হয়েছে।
তার বিয়ের প্রায় ৫ বছর হলো। তার দুটি ছেলে আছে।
স্বামী ব্যাবসায়ী তাই কাজের জন্য তাকে বেশিরভাগ সময় শহরে থাকতে হয়।
সিনথিয়া কে একাই থাকতে হয়। তার পাশের রুমে বৃদ্ধা শাশুরি থাকা সত্তেও সে রাতে একা একা ভয় পায়।

সেদিন খুব গরম পড়েছিল তাই সিনথিয়া পিছনের জানালাটা খুলে দিল।
তার রুমের ঠিক পিছনেই ছিল বিশাল এক পুকুর আর পুকুরের চার পাশে অনেক গাছপালা। 
আর পুকুরের অই পাশে ধান ক্ষেত।  ও বলাই হয়নি যে সিনথিয়াদের বাড়িটি যে যায়গায় সেখানে আগে একটি গভীর ও পুরাতন পুকুর ছিল। তাদের উঠানে ছিল বিশাল ৩ টি নারিকেল গাছ।

সে জানালা খুলতেই চোখ গেল পুকুরের দক্ষিণ পশ্চিম কোনের দিকে। দেখলো কিছু সাদা অবয়ব দেখা যাচ্ছে,  হ্যা প্রায় সাতটি মানুষ এর মত অবয়ব তাদের গায়ে আলোক উজ্জ্বল সাদা কাপড় ।  তারা সাবাই  যেন তার দিকে এক দৃষ্টিদিয়ে তাকিয়ে আছে, সেই দৃষ্টি কেমন যেন ভয়ানক।   ভয়ে সিনথিয়ার হৃৎপিন্ড চুপসে গেল। কোন রকম চোখ বন্ধ করে সে জানালা টা আটকে দিল।

মাঝরাতে সিনথিয়ার ঘুম ভেঙে গেল। তার প্রচন্ড ভয় লাগছে, যেন এখনি হৃৎপিন্ড ফেটে বেরিয়ে যাবে। সে খুব ভয়ানক একটা সপ্ন দেখেছে।  কিছু লোক তার ছোট ছেলেকে তার কাছথেকে কেড়ে নিতে চাচ্ছে, তাদের গায়ে সেই ধবধবে সাদা কাপড় যা ঘুমানোর আগে পুকুরের অই পাড়ে দেখা কিছু অবয়বয়ে মত ।
সে দিন রাতে তার আর ঘুম হয়নি এবংকি সে কারো সাথে অই রাতের কথা শেয়ার করেনি।
পরদিন রাতে আবার  সেই একই সপ্ন দেখল । সিনথিয়া নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলো না। অই রাতেই তার শাশুরি কে সব খুলে বললো। পরদিন দিন একজন হুজুর কে আনা হলো।  হুজুর যা বললেন তা ছিল এই রকম
- " এরা হচ্ছে খারাপ প্রকিতির জীন,তারা তোমার একটি বাচ্চা কে চায় "।
একথা শুনার পর সিনথিয়ার পিঠের শিরদাঁড়া দিয়ে যেন একটা শীতল শিহরণ  বয়ে গেল। সে নিস্পলক চোখে তার আদরের দুই ছেলের দিকে তাকিয়ে আছে,  তার চোখ হতে গাল বেয়ে  এক ফোটা অশ্রু মাটিতে গড়িয়ে পড়লো।

সেই হুজুর কিছু পানিপড়া দিল এবং বাড়িটিকে তাবিজ দিয়ে বন্ধ করে দিল।
তার পরদিন রাতে তার জানালায় শব্দ হল " ঠুক ঠুক "।
ভয়ে তার পিলে চমকে গেল।  কিছুক্ষন পর দেখাগেল একটা হাত তার  জানালা ভেদ করে তার দিকে এগিয়া আসছে।  সে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেল। পরদিন তাকে পাওয়া গেল সেই পুকুরের দক্ষিন পশ্চিম কোনে এবং ছোট ছেলেটার শরীরের কিছি অংশ।  পিচাশরা তার আদরের ছোট ছেলেকে কেড়ে নিয়েছে।  বড়ছেলে তার রোমেই ছিল। কিন্ত সিনথিয়া ছোট ছেলের শোকে এখন পাগল প্রায়,  তাকে এখন শিকল দিয়ে বেধে রাখতে হয়।

বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর

___[বিশ্বাস ]
#infected

_____কোন একটা সম্পর্কে বিশ্বাসই সব

____ কারো সাথে সম্পর্ক করা টা একটা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার কিন্তু
তা নষ্ট হতে কিছু মূহুর্তই যথেষ্ঠ।

___ যেমন কারো সাথে অনেক ভালো সম্পর্ক আপনার।  সে আপনাকে তার জীবনের চেয়ে বেশী ভালোবাসে! (তার কথা অনুযায়ী)
কিন্তু কোন একটা ভুল বা অবিশ্বাস এর কারণেও সেই সম্পর্ক এক মুহুর্তে ভেঙে যায়। কি আজিব বেপার ভাই।
এই কি তাহলে জীবনের চেয়ে বেশী  ভালোবাসার রুপ?!!! ;)

____ আবার দেখুন কোন একটা স্থাপত্য কর্ম সময় সাপেক্ষ ব্যাপার কিন্তু তা ভেঙে যেতে কিন্তু সেই কিছু ক্ষুদ্র সময়ই যথেষ্ট
যেমনঃ সাভারের রানা প্লাজা।

___ তাই আমাদের জীবনের সকল সম্পর্ক গুলো যেন হয় বিশ্বাস পূর্ণ।

   কথায় আছে না বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর :)

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

আমি শুধু দুটি কারণে গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করছি...

২০০৯ এর এক দুপুরে...
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সামনের টঙের
দোকানে বসে সিগারেট খাচ্ছি... গেট থেকে বের
হলেন ভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্টার কায়ুম স্যার।
সিগারেট ফেলে দিলাম।
তিনি হাত ইশারা করে আমাকে ডাকছেন...
‘কোন ব্র্যান্ডের সিগারেট ‘?
‘জী স্যার বেনসন’।
‘ দাম কত’ ?
‘ ৭ টাকা’
‘ স্যারকে দেখে সিগারেট ফেলে দেয়ার অর্থ
জানো ? এর মানে হল ৭ টাকা পানিতে নষ্ট
করা... এখন থেকে স্যারকে দেখলে সিগারেট
হাতের তালুতে লুকিয়ে ফেলবে’
তিনি একটা সিগারেট
জ্বালিয়ে আমাকে দেখালেন কী করে জ্বলন্ত
সিগারেট হাতের
তালুতে লুকিয়ে রাখা যায়... !!
কিছুদিন পর স্যারকে দেখলাম ক্লাসের
সবাইকে নিয়ে গোলটেবিলে বসলেন... সবার
সামনে খালি প্লেট... প্লেটের
পাশে কাটা চামচ এবং ছুরি রাখা।
কাটা চামচ দিয়ে কীভাবে খেতে হয় অনেকেই
জানে না...
বড় বড় সেমিনারে এসবের নাকি দরকার আছে!
তিনি শেখাতে লাগলেন...
একসময় স্যার সহ সবাইকে দেখা গেল শুন্য
প্লেটে ছুরি চামচ দিয়ে বিরিয়ানি খাচ্ছেন !
আমার দেখা একজন সত্যিকারের শিক্ষক;
যিনি একাউন্টিং পড়তে আসা ছাত্রদের
হাতে গীটার তুলে দিতেন !
আমার লিখার বিষয় বস্তু কায়ুম স্যার না;
বছরের পর বছর ছেলেমানুষি পরীক্ষা কেন
নেয়া হচ্ছে? মেধাবীর ডেফিনেশন কী? কারেন্ট
ওয়ার্ল্ড মুকস্ত করা? ১২ বছর
ইংরেজিতে পরীক্ষা দিয়ে ইন্টারে এ প্লাস
পাবার পর সাইফুরসে ভর্তি হওয়া? দশ বছর
সমাজ বিষয়ে পড়ে , নোট করে, মুকস্ত করে...
অসামাজিক জীব হওয়া?
স্বয়ং আইনস্টাইন, টমাস এডিসন
পরীক্ষা পদ্ধতির বিপক্ষে... পরীক্ষা মানুষের
ভেতরে এক ধরনের ভয় ঢুকিয়ে দেয়। ভয়
নিয়ে জ্ঞান অর্জন সম্ভব না।
কিছুদিন আগে জাফর ইকবাল স্যার বলেছেন –
যদি কোন ছাত্র হারিকেন
জ্বালিয়ে পড়তে বসে তাহলে সেই দেশের
সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে যায়... কেননা জ্ঞান
এক ধরনের সম্পদ। কথাটায় ভুল আছে...
হারিকেন জ্বালিয়ে পড়ার ফলে দেশের
সম্পত্তি বাড়ে না; এর ফলে দেশের পাশ
করা সার্টিফিকেট বাড়ে...
আমার ব্যক্তিগত ধারণা একসময়
শিক্ষা পদ্ধতি থেকে এসব উঠে যাবে। মানুষ
ক্রমেই ন্যাকামি , লোক দেখানো জগত থেকে বের
হয়ে আসছে।
আগে বাসায় মেহমান
এলে প্লেটে নাবিস্কো বিস্কুট সাজিয়ে আপ্যায়ন
করা হত... তিনি হয়ত জানেন অতিথি বিস্কুট
খাবেন না; শুধু চা দিতে কেমন দেখায়... তাই
বিস্কুট নাটকের ব্যবস্থা।
এখন জিজ্ঞাসা করা হয় , কী খাবেন?
ইউরোপে অতিথি নিজেই
রান্না ঘরে গিয়ে চা বানিয়ে খেয়ে নেয়। লোক
দেখানো ব্যাপার থেকে আমরা পুরোপুরি মুক্ত না;
ইচ্ছে না থাকা স্বত্বেও
মেয়ে বিয়ে দিলে ঈদে টাকা ধার করে দুনিয়ার
জিনিস পাঠাতে হয়...
পৃথিবী অনেক দূর যাবে... সামাজিক ভনিতা এক
সময় পৃথিবী থেকে উঠে যাবে... কারেন্ট
ওয়ার্ল্ড মুকস্ত করার মত হাস্যকর
ভর্তি পরীক্ষা উঠে যাবে...
একটা উদাহারণ দেই...
আমাদের গেটের দারোয়ানের নাম হাবীব
চাচা। আমি তাকে দুটি জিনিস শেখালাম।
১- রবীন্দ্রনাথের জন্ম সাল কত?
২- হিটলারের জন্ম কোন গ্রামে হয়েছিল?
শেখার পর হাবীব চাচা এই দুটি প্রশ্নের উত্তর
জানেন।
আমাদের এপার্টমেন্টের দ্বিতীয় তলায়
চিটাগাং ইউনিভার্সিটির একজন প্রফেসর
থাকেন। তার নাম মঞ্জুর আলম। আমি একদিন
মঞ্জু স্যারকে এই দুটি প্রশ্ন করলাম।
তিনি জবাব দিতে পারেন নি... তার পাশেই
হাবীব চাচা হাসতে হাসতে জবাব দিলেন।
এর মানে কী? হাবীব চাচা মঞ্জু স্যার
থেকে বেশি মেধাবী? অবশ্যই না...
এটা এক ধরনের তথ্যগত ইনফরমেশন...
জানা থাকলে ভাল... আমাদের প্রচলিত
শিক্ষা পদ্ধতিতে মেধার মাপ কাঠিই হল এই
তথ্যগত জ্ঞান !!
সরকারী ম্যাজিস্ট্রেট হতে হলে , বড়
আমলা হতে হলে দুনিয়ার মানুষের জন্ম সাল
মুকস্ত করবে, কোন দেশের রাজধানীর নাম
কী তা মুকস্ত করবে... যা দু মাস পর
মনে থাকবে না!
পৃথিবী অনেক দূর যাবে... ভনিতা এক সময়
পৃথিবী থেকে উঠে যাবে...
আমার নিজের কাছে মাঝে মাঝে খুব খারাপ
লাগে ; আমি নিজেও এই ভনিতার সাথে আছি।
বছরের পর বছর মুকস্ত করছি... কেন
করছি জানি না... সবাই করছে... আমাকেও
করতে হবে। অপছন্দের সাবজেক্ট
নিয়ে পড়ালেখা করছি... সবাই করছে। আমাকেও
করতে হবে।
তানাহলে এরা আমাকে বাঁচতে দিবে না...
তবে; ......
আমি শুধু দুটি কারণে গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করছি...
১- আমার আব্বু আম্মু যথেষ্ট
পড়ালেখা করেছেন। আমার আর কোন ভাই নেই।
তাদের কেউ জিজ্ঞাসা করলে যেন বলতে না হয়
যে তাদের ছেলে ইন্টার পাশ !
২ -আমার ছেলে মেয়ে হয়ত অনেক উচ্চ শিক্ষিত
হবে। তাদের বন্ধুরা যখন তাদের
জিজ্ঞাসা করবে – তোমার বাবা কত টুকু
পড়ালেখা করেছে? সেই সময় যেন তাদের মুখ ছোট
হয়ে না আসে !!

বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

ওয়েটিং ফর দ্যা বিগেস্ট ব্লক বাস্টার ইভেন্ট অফ দি ইয়ার ঢাবি এডমিশন টেস্ট ২০১৪-২০১৫

এই বনানী নামেন বনানী...........

হঠাৎ করে কার ডাকে যেন ঘোর কাটলো
চেয়ে দেখি বাসের হেল্পার আমার পাশে দাড়িয়ে বলছে মামা নামবেন না? বনানী চইলা আইছি।
এত্তখনে বুঝলাম যে আমি আসলে বাসার দিকে যাচ্চি!
তাহলে আমি গিয়েছিলাম কই?
আমার সাথে তো মখাই ও জগা ছিল।
ও এত্তখনে মনে পরছে ওরা তো মিরপুরের বাসে উঠছিল।
আমরা গিয়েছিলাম পড়ীক্ষার কেন্দ্র দেখতে।
প্রথমেই বলেরাখি "খালি কলসি বাজে বেশি" কথার মানে হইল পরীক্ষার কোন প্রস্তুতি নাই(ফেল করমু এইটা সিউর) তবু আমরা তিন বান্দর গেছি পড়িক্ষার কেন্দ্র দেখতে।
শাহবাগ থেকে গেলাম মধুর ক্যান্টিনে অইখানে বিকালের নাস্তা সেরে রিক্সায় রওনা দিলাম আজিমপুর, পথে আজিমপুর কবরস্থান দেখে মনে পড়ল আমার ভবিষ্যৎ গন্তব্যের কথা ( ঢাবির পড়িক্ষার পরই অই টা আমার গন্তব্য)।
তো যাত্রা পথে বিশাল রিক্সা জ্যাম এ পড়লাম, সারা রাজপথে রিক্সায় ভরা আমরা তখন নীলক্ষেত পার হচ্ছি।
প্রথম গন্তব্য সেই পিলখানার কেন্দ্রগুলো দেখতে পারিনি কারণ তখন রাত হয়ে গিয়েছিল(বিজিবি হেডকোয়ার্টার তো তাই বিশাল নিরাপত্তা) তাই ঢুকতে দেয় নাই।
তার পর গেলাম অগ্রনী স্কুলের দিকে

---- টুট টুট টুট লেখা লেখি কইরা মজা পাচ্ছি না।
আচ্ছা তবু বলি।
আচ্ছা বাসের সেই মজার কাহিনীর কথাই বলি।
তো বসে আছি BRTC বাসের এর ২য় তলায়, বাসে ফ্যান আছে অনেক কিন্তু ২ / ১ টা বাদে বাকি গুলা চলে না,এই দেখে রাগে এক জন পালোয়ান টাইপ লোক ফ্যানের গায়ে মারলেন এক ঘুসি। ওমা এ কি অবাক কান্ড দেখি ফ্যান চলতে শুরু করছে।
এই দেখে আমার সিটের উপরের ফ্যানের দিকে তাকাতেই দেখি ১ টা তার ছেড়া। হায় রে পোড়া কপাল (অভাগা যেখানে যায় সেখানে ফ্যানের তার ও ছিড়ে যায় ;( ) এই দিকে ঘামে আমার টি শার্ট পুরুটা ভিজে গেছে আর টপ টপ করে পানি (ঘাম) পড়ছে মুখ থেকে।
এই হইল করুন অবস্থা
ওয়েটিং ফর দ্যা বিগেস্ট ব্লক বাস্টার ইভেন্ট অফ দি ইয়ার ঢাবি এডমিশন  ২০১৪-২০১৫
;(

বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

আজাইরা লেখা লেখি

রাত ১২:০১ টি স্টলে,
আমি:অনেক দিন পর অন্য রকম ভাল লাগতেছে।
মখা ভাই:কারণ কি???
:আচ্ছা এত্ত অস্থির হচ্ছেন কেন মশাই, আমাকে বলতে দিন।
:আচ্ছা বলুন শুনি।
:সময় তখন রাত ৯:১৫ হবে।
: তার পর?
: আরে মশাই আবার কথার মাঝে হাত ঢুকাইলেন?
: আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত?
: ইটস অকে। তার পর শুনুন। আমি ৯:১৫ তে ফোন হাতে নিলাম দেখি ২টা ক্ষুদে বার্তা এসেছে।
:নিশ্চই জি এফ দিয়েছে?।
:আরে নাহ, আমার কি আর সেই কপাল আছে। তবে বার্তার নাম দেখে খুশি হইলাম, দেখি ফেক্সিলোড লেখা। তো অপেন করতেই দেখি ৫০ টাকা। তো কে পাঠাইলো বুঝতেছি না।
:নিশ্চই কেউ ভুল করে.... : হয়তো বা,তো কিছু ক্ষন পর আম্মু আমার রুমে এসে জিজ্ঞাসা করতেছে যে ফোনে টাকা পাইছিস?
কইলাম পাইছি, বাট কে দিল?
আম্মা কইল তোর আব্বা দিছে।
আমি তো পুরাই খুশি ইশ যদি প্রতি দিন না হোক সপ্তাহে এই ভাবে ফোনে টাকা দিত তো ভালই হইত।
:হঠাৎ কেন দিল কাহিনী কি?
: শুনুন, তখন বিকাল ৭:৩০ হইব। আমি এলাকার এক চটপটি দোকানে চটপটি খাচ্ছি।
:নিশ্চই গার্লফ্রেন্ড এর সাথে?
: ধূর মশাই, আগেই তো কইছি অই সব আমার নাই। তো শুনুন আব্বা ফোন দিয়া জিগাইল আমি কই আছি? তো কইলাম বাসায় যাচ্ছি। যে কাজে বের হইছিলাম তা শেষ করেত এক্টু দেরি হইছিল তো তাই।
: কি কাজ ভাই?
: আরে কি আর হইব এই তো ফ্রেন্ড দেরসাথে আড্ডা।
:নিশ্চই কোন কোচিং এর সামনে? মেয়ে দেখতেছিলেন?
:আরে মিয়া আমি অমায়িক ছেল
:ভালরা কি খারাপ হতে পারে না? চেঞ্জ হইতে আর কয় দিন লাগে বলেন?
:ঠিক কইছেন, তবে আমি অই সব কাজে যাই না।
:আপনাকে দেখলেই বুঝা যায়?
:কিভাবে?
: এই ধরেন আপনার ফোনে আপনার আব্বা
টাকা ভরে দিল।
: হে হে এই ডা ঠিক কইছেন
:তো তার পর কি হইল কাহিনী শেষ করেন!
: তার পর আব্বা জিজ্ঞাসা করলো তোমার আম্মারে ফোন দিয়া বল নাই কেন যে তোমার ফিরতে দেরি হইব!
আমি কইলাম ফোনে টাকা নাই।
:ও তাই বুঝি টাক দিল।
:হুম মনে হয় তাই, তো কি বুঝলেন মশাই?
: কি আবার বুঝব,হুদাই আজাইরা পেচাল পারলেন!
: আরে নাহ, প্রতি টা স্টোরির যেমন মোরাল থাকে এইটার ও আছে।
: কি মোরাল!??
: মোরাল হইল" আপনি যদি আপনার বাবাকে আপনার উপর আস্থা তৈরি করতে পারেন তো তিনি আপনাকে অনেক বেশি ভালোবাসবে"
:মানে আপনার বাবা আপনাকে অনেক ভালবাসে তাই না!
: হুম,কিন্তু আমি খুব চিন্তায় আছি মশাই।
: কি চিন্তা?
:এই তো ১০ তারিখে ঢাবিঃ তে পরীক্ষা আছে কিন্তু আমি কিচ্ছু পড়িনাই। বাপের দৃড় আস্থা আছে যে ছেলে কোন পাব্লিকে চান্স পাবে। কিন্তু আমি কোন আস্থা দিতে পারছি না।
:হুম ভাই, তো লেখা পড়া স্টার্ট করেন।
: ভাই প্রতিদিনই ভাবি কাল থেকে পড়া স্টার্ট করব। কিন্তু সেই কাল আর আসে না।
: ভাই এখনি বাসায় গিয়ে পড়তে বসেন!
: হুম, বলা সোজা বাট করা কঠিন। দোয়া করবেন ভাই।

মখাভাই : এই মামা ২টা চা আর ১টা গোল্ডলিফ কত হইল
চা মামা : পাচ পাচ দশ আর ছয় মোট ১৬ ট্যেকা।

আমি : আচ্ছা আসি ভাই
মখাভাই : অকে ভাই আবার কোন দিন হয়তো দেখা হবে এই চক্রাকার পৃথিবীতে। ভাল থাকবেন।
: আল্লাহ হাফেজ।
তার পর মখা ভাইয়ের সাথে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
বিঃদ্রঃ কল্পনার সাথে সত্যের মিশ্রনে এই আজাইরা লেখা লেখি
© শাকিরুল ইসলাম সোহাগ

বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০১৪

ভালবাসা টা মনে হয় সব সময় ভুল মানুষ গুলোই পায়।

বন্ধু আমার বিড়ি সিগারেট খাইনা।
তাস
খেলতে পারেনা। রেজাল্ট বরাবরই
ভালো।এক
বারে হোমমেড
ছেলে বলতে যা বোঝায় ও
তাই। অনেক
চেস্টা করেছি ওকে বিড়ি খাওয়াতে,
বকেছি,
অপমান করেছি , জোর করেছি সবাই
মিলে তবুও
ওকে বিড়ি খাওয়াতে পারিনি।
বিকেল
থেকে বেশ কয়েকটা কল আসে আমার
ফোনে।
সবাই ওকে খুজছে -
সকালে বাসা থেকে বের
হইছে , ওকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ফোন বন্ধ।
সবাই সন্দেহ করছে মনে হয়
মেয়েটির সাথে ও
পালাইছে। যদিও আমি জানি ও
কখনো এমন
করবে না। তবুও অন্য এক জনের কাছ
থেকে নাম্বার নিয়ে মেয়েকে ফোন
দিলাম
তার ফোন ও বন্ধ। আমারও সন্দেহ
হতে লাগলো।
যেখানে ও যেতে পারে সম্ভাব্য সব
জায়গায়
ফোন দিলাম কেও ওর খোজ
দিতে পারেনা।
এদিকে ওর মা আমাকে ফোন
করে কাদে ,
বাবা অনুরধ করে - ওর ভাই থ্রেড
দেয়।কাছের
বন্ধু হিসেবে তাদের ধারনা অন্তত
আমি সব
জানি।ওকে খুজতে বের হলাম -
রাস্তায় বের
হতেই একটা রিকশার দিকে চোখ
পড়ল। ১
জোড়া কপোত কপোতি রিক্সার হুড
তুলে ,
হাতে হাত রেখে , চোখে চোখ
রেখে গল্প
করছে -- এই মেয়েটিকে আমি চিনি,
আমার বন্ধু
যার কথা রাখার জন্য
বিড়ি খাইনা ,অন্য কোন
মেয়ের দিকে তাকায় না- যে মেয়ের
বেধে দেয়া সূর্যাস্ত আইন মেনে বন্ধু
আমাদের
মায়া ত্যাগ করে সন্ধার আগেই
বাসায় ফেরে -
এইটাই সেই মেয়ে। পাশের
ছেলেটিকে আমি চিনিনা। খারাপ
লাগলো দেখে , খুব খারাপ লাগলো।
নিশ্চিন্ত
হলাম ওরা পালাইনি , কিন্তু ভয়
পাচ্ছিলাম -
আমার বন্ধু আবার উলটা পালটা কিছু
করেনি তো ?
এই
শহরে যেখানে যেখানে আমরা যায়
সব
জায়গায় খুজলাম কিন্তু পেলাম
না ওকে।
সর্বশেষ ঠিকানা শ্মশান ঘাট -
এবার
ওকে পেলাম। ছেলেটা একের পর এক
সিগারেট
টানছে। নাকের পানি , চোখের
পানি এক
হয়ে যাচ্ছে। ওর বাসায় ফোন
দিলাম- বললাম
পাইছি ওকে । একটু পর আসছি।
পাশে বসে আমিও একটা সিগারেট
ধরালাম। ১০
মিনিট কেটে গেল - কোন কথা নেই।
নিরবতা ভাঙলাম -
কবে থেকে ?
- ২ মাস।
ফাইনালি কবে ?
- গত কাল রাতে।
আগে বলিস নি কেন ? তোকে দেখেও
তো বোঝা যায়নি ?
- বললে কি হয়ত। আর বুঝিয়েই
কি লাভ হত।
তোরা শুধু ওকে ভুল বুঝতি, ওকে খারাপ
ভাবতি তাই বলিনি।
আমরা খারাপ ভাব্লেও তো তোকে এখন
এই
অবস্থায় দেখতে হত না - অন্তত
এতটা সেলফিস
তোর কোন বন্ধুই না।
- দোস্ত ও অনেক ভালো মেয়ে -
আমি চাইনা ওকে কেউ খারাপ ভাবুক।
এম্নিতেই ওর জন্য তোদের সাথে খুব
বেশি মিশতে পারিনা।
মেয়েটাকে ভুলে যা - মনে কর
যেটা হইছে ভালো হইছে।
-দোস্ত প্রথম প্রেম ভোলা যায় না।
ভুদায় একটা তুই - ১ম প্রেম বলে কিছু
নেই
দুনিয়ায় - সব ছেলেদের দুর্বল করার
ধান্দা।
একটা মানুষ ৬ বার
সত্যি সত্যি প্রেমে পরতে পারে।
১ম প্রেম
কেও ভুলতে না পারলে দুনিয়ায় কেউ
ব্রেক আপ
করত না। প্রথম প্রেম
হইতেছে আবেগ। আর
আবেগ মানেই ভুল ডিসিশন। নতুন
প্রেম কর -
সাকিবের গার্লফ্রেন্ডের রুম মেট
ফাকা আছে -
আজ রাতেই কাম হইব - কান্দিস
না তুই ।
আমি সাকিব রে ফোন দিচ্ছি।
- কেডা ঐ সাইমন্ডস ? আর আমার
দারা এসব
হবে না - দেখি ও কি করে -
আমাকে ছাড়া কিভাবে থাকে।
আরে পার্লারে গিয়ে চুল
সোজা করে নিবি।
আর সাইমন্ডস এর মত লাগবে না।
মেয়ে টা ভালো।আর কিছুই হবে না -
মেয়েরা ফেরার জন্য যায় না।
ছেলেরা হয়তেছে ওদের কাছে অপশন
এর মত -
বেটার অপশন ওরা কখনো ছারে না -
ভালোবাসা কোন ব্যাপারনা।
দেখিস ও ফিরবে -
আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না।
আমি তো ওকে চিনি।
যদি জানিস ই ও
ফিরবে তাইলে শ্মশানে এসে কাদছিস
কেন?
বিরি খাচ্ছিস কেন ?
- এমনি ইচ্ছা হয়লো তাই।
আর খাবিনা। এটা ভালো জিনিস না।
কেন্সার
হয় এটা খেলে।
- তোরা খাস কেন ?
আমরা ভক্তি দিয়ে বিরি খাই , তোর
মত
মুখে নিয়ে মুখ দিয়েই
ধোয়া ছাড়ি না।
ভক্তি দিয়ে না খেলেই কেন্সার হয়।
- আমিও শিখে যাব। দোস্ত জানিস -
আমি ওকে অনেক ভালবাসি- ওর
সাথে আমার ৫
বছরের সম্পর্ক। কখনো ওকে আমি কষ্ট
দিই নি ।
তোরা তো জানিস
ওকে আমি কতটা ভালবাসি। ও
আমাকে কষ্ট
দিল কেন ?
ও তোকে বোঝেনি -
মেয়েরা সত্যি ভালবাসা বুঝে না।
ওর
থেকে ভালো মেয়ে তুই ডিজারভ
করিস। মন
খারাপ করিস না - বাস - ট্রেন - আর
মেয়ে সব
সময় একটা গেলে আর একটা আসে। আর
দেবদাস
হতে চাইলেও পারবিনা - মদের
যা দাম ।
- তুই ও তো অপেক্ষা করিস। তুহিন
অপেক্ষা করে এখনও । কেন করিস ?
আমরা অপেক্ষা করলেও তোর মত
শ্মশানে এসে কাদি না।
সন্ধ্যা হইলে কিন্তু
এখানে ভুত আসে। চল বাসায় যায়।
৫ বছরের পরিচয়ে একটা মেয়ের জন্য
শ্মশানে এসে কাদছিস - আর তোর
মা বাবা বাসায় বসে কাদছে -- তোর
থেকে এসব আসা করা যায় না। চল
বাসায় চল।
আচ্ছা দোস্ত ছেলে টা কেরে ?
-কোন ছেলেটা ?
যে ছেলের জন্য তোদের ব্রেক আপ।
- না সেরকম কিছুনা। ওর
ফামিলি থেকে ঝামেলা করতেছে -
রিলেশন
থাকলে পড়াশোনা ঠিক মত হয় না।
তাই ও
রিলেশন রাখতে চাই না।
- ও আচ্ছা ।
দোস্তকে বলতে পারিনি রিক্সায়
আমি কি দেখেছি। খারাপ লাগছিল
ওর জন্য।এর
আগে ওকে আমি কখনো কাদতে দেখিনি।
অধিকাংশ মেয়েই ডাল - ভাত আর
বিরিয়ানির পার্থক্য বুঝেনা।তার
হয়ত বুঝেই
না তারা কি চাই।
ভালবাসা টা মনে হয় সব
সময় ভুল মানুষ গুলোই পায়।

সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৪

শোনো মেয়ে , ভালোবাসি , ভালোবাসি , ভালোবাসি , অনেক ভালোবাসি । তুমি কাছে থাকলেও বাসবো , না থাকলেও ।

শোনো মেয়ে , যেখানেই যাও না কেনো ,যার কাছেই
থাকো না কেনো , একটা কথা মনে রেখো ,
নাহ থাক , কষ্ট করে আর মনে রাখতে হবে না । মাথাতেই
রেখো ।
"একটা ছেলে ছিলো , যে তোমাকে , হ্যাঁ তোমাকেই
ভালোবাসতো , বাসে , বাসবে ও । সবচেয়ে বেশী , সবার
চাইতে বেশী ।
শোনো মেয়ে ,
ছেলেটা কাউকে বলে বোঝাতে পারবে না সে কেনো তোমাকেই
ভালোবেসেছিলো , তার কাছে এ প্রশ্নের উত্তর নেই ।
সে নিজেকেও বোঝাতে পারবে না এ কথাটা । ভালো-খারাপ ,
সুন্দর-অসুন্দর দেখে সে ভালো বাসেনি তোমায় ,
ভালোবাসার প্রয়োজনেই সে ভালোবেসে ছিলো । আর
সে বাসবে ও ।
শোনো মেয়ে , ছেলেটা তোমায় ভুলতে পারবে না ।
ভুলে যাওয়া অনেক কঠিন । এতো কঠিন কাজ
সে করতে পারবে না । সে হয়তো আর
কাছে পাবে না কখনো তোমায় , তবে সে শুধুমাত্র তোমার
হয়েই থাকবে । যতোটুকু থাকা যায় ভালোবেসে , তার চাইতেও
বেশী ।
জানো মেয়ে , একা একা হেঁটে ছেলেটা আজ বড্ড ক্লান্ত ,
কেঁদে কেঁদে হয়তো বালিশগুলো আর ভেজায় না সে ,
তবে নিঃশব্দে কাঁদে এখনো ঠিকই , তোমার জন্য
প্রতিটা মুহূর্তে । ছেলেটাকে শাসন করার মতো আর কেউ
নেই ,
তার চোখের সুরমা দেখে কেউ আর বকে না , পাওয়ার
না থাকা সত্ত্বেও চশমা পরা দেখে কেউ আর বিরক্ত হয় না
এখন , শার্টের হাতা ভাজ করতেও বলে না কেউ ।
আচ্ছা মেয়ে , আমাদের পৃথিবীতে এমন কেনো হয়
বলতে পারো ?
যারা ভালোবাসার মানেই বোঝে না তাদের কাছেই
কেনো আমরা ভালোবাসা খুজতে যাই বলতে পারো ?
যে বিশ্বাস ভাঙ্গে , তাকেই কেনো বারবার বিশ্বাস
করি আমরা বলতে পারো ?
হাত ধরে হেঁটে যাওয়া অচেনা দুজন মানুষের
মাঝে কেনো আমাদের খুঁজে ফিরি বলতে পারো ?
পিসি তে রিপিট মোডে বেজে চলা গানের
প্রতিটি শব্দে কেনো সেই মানুষ টাকেই অনুভব
করি বলতে পারো ?
হাসির পেছনে কেনো হাজার কষ্ট লুকোতে হয় বলতে পারো ?
শোনো মেয়ে , ভালো থেকো , ভালোবাসায় থেকো !!!
ছেলেটাকে নিয়ে ভাবতে হবে না আর । সবাই ভাবে ,
ছেলেটা ভালোই আছে ।
আর ছেলেটা দীর্ঘশ্বাস
ফেলতে ফেলতে ভাবে ,ভালোবাসাহীনতায়
,মেয়েটাকে ছাড়া সে সত্যিই ভালো নেই ।
নতুন করে ভালো থাকার উপায় থাকা সত্ত্বেও সে উপায়
খোজে না , সে একা একা ভালো থাকতে চায় না মেয়ে ।
এতোটাই ভালোবাসে সে তোমায় ,কোনো পরিণতি নেই
জেনেও ।
শোনো মেয়ে , ভালোবাসি , ভালোবাসি , ভালোবাসি ,
অনেক ভালোবাসি ।
তুমি কাছে থাকলেও বাসবো , না থাকলেও ।

ভালোবাসি তোমাকে তোমাকে আর তোমাকে..!!!

আমি এখনও অপেক্ষায় আছি
যদি কখনও ভুল করে বলে ফেলো ভালোবাসি।
এমন কিছু ক্ষতি হবেনা পৃথিবীর
বদলে দিতে হবে না কোন সংবিধান,
কমে যাবে দীর্ঘশ্বাস আর অপেক্ষার জন্ম
নিবে আরেকটি নতুন সুখ সত্তার।
আমি এখনও অপেক্ষায় আছি
যদি অন্যায়গুলো অনুশোচনায় বদলে যায়
এমন কিছু ক্ষতি হবে না সময়ের,
হারিয়ে যাবে দুঃখ আর হতাশা
জন্ম নিবে আরেকটি কাঙ্খিত পৃথিবীর।
আমি এখনও অপেক্ষায় আছি
যদি ভুল করে বলে ফেলো
আমি, আমরা অনুশোচনায় কাতর
নিজের মত
ভালোবাসি তোমাকে তোমাকে আর
তোমাকে..!!!

নিরন্তর ভালোবাসা - দুই >>আবুল খায়ের সজীব

আমি লক্ষ্য করিনি তোমার গলার
নিচে জোড়া তিল আছে ,
অথচ,আমার আঙ্গুলের
ফাঁকে লুকিয়ে থাকা ছোট্ট তিলটিও
তোমার নজরে পড়েছে ।

আমি কখনোই তোমার সুদীঘল চুলে নজর দেই নি,
অথচ,আমার শার্টের বোতাম খোলা রোমশ বক্ষ তোমার নজর এড়ায় নি ।

অভিমানে ঘেমে ওঠা তোমার
নাকে কখনোই আমার চোখ পড়ে নি,
অথচ,রাগের সময় আমার শক্ত
হওয়া চোয়ালও তোমার চোখে পড়েছে ।

তোমার চলার ছন্দে ছমছম নূপুরের ধ্বনি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেনি,
অথচ,সামান্য বাতাসে আমার
উড়তে থাকা চুলও তোমার চোখ এড়ায় নি ।

ব্যস্তময় যান্ত্রিক যোগাযোগে কখনোই আমার চোখে আসেনি তোমার দুলে ওঠা শরীর ,
অথচ,আমার পুরুষ হয়ে ওঠার কোন কিছুই তোমার নজর এড়ায় নি ।

আমি জানি তোমার ভীষণ অভিমান হয় ।
কিন্তু কি করবো বলো-
যে চোখ দিয়ে তুমি আমাকে এতোখানি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছো
সেই চোখকে যে প্রথম দেখাতেই আমার বড় বিশ্বাসী মনে হয়েছে ।
আর জানো তো-
বিশ্বাসের আগুন বড় ভয়ংকর ।
একেবারেই সব ভস্ম করে দেয় ।

আর ভস্মিভুত হৃদয় যখন তোমার
কোলে মাথা রাখে,
আলতো করে মাথায় হাত
বুলিয়ে দিয়ে তুমি তখন আমায় বলো-
তুমি বড্ড পাগল গো !!